হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জ জেলায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু লটারীর মাধ্যমে ধানের সংগ্রহ মূল্য ২৭ টাকা কেজি নির্ধারণ করলেও প্রকৃত কৃষকগন এ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকারের কাছ থেকে ধানের ন্যায্য মুল্য না পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়ছেন কৃষকরা।
হবিগঞ্জে বোরো ধান কাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন পুরোদমে ধান তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকগণ। কিন্তু কষ্টের উৎপাদিত ধানের ফলন ভাল হলেও বিক্রয় মূল্য থেকে উৎপাদন মূল্য বেশি হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়ছেন কৃষকরা। সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ধানের সংগ্রহ মূল্য ২৭ টাকা কেজি নির্ধারণ করলেও প্রকৃত কৃষকগন এ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সিন্ডিকেটের কারণে গুদামে ধান দিতে পারছেন না তারা।
জেলার কৃষকরা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে সার,কীটনাশক প্রয়োগ, ডিজেল ও শ্রমীক মজুরী বাবদ প্রায় ৮ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু সরকার যে মূল্য নির্ধারন করেছে এতে তাদের পোষায় না। এত করে ধান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন জেলার কৃষকরা।
হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক- মো. তমিজ উদ্দিন খান বলেন,সরকার ধান সংগ্রহ করার উদ্যোগ নিয়েছে। সময়মত কৃষকগণ লটারীতে অংশ না নিলে তাদের বাধ দিয়ে নতুন করে কৃষকগণের তালিকা করা। হাওর এলাকায় ৯৮ শতাংশ ধান কাটার কথা তিনি বললেও স্থনীয় সুত্রে জানা যায়,এপর্যন্ত ৭০ শতাংশ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। আর নন হাওর এলাকায় ৪৫ শতাংশধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে বলে তিনি জানান।
তবে কৃষি মন্ত্রী -ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বললেন,কৃষকরা যাতে ন্যায্যমূল্য পায় সেজন্য গুদামে দেয়ার জন্য লটারীর মাধ্যমে ধান কেনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। লটারী সিস্টেম ভাল কাজ করে তবে বোরো ধান যে সকল কৃষক গুদামে দিবেন আমনে তারা লটারীর এ সুযোগ পাবেন না।
এবছর জেলায় ১ লাখ ২০ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাওর এলাকায় ৪৬ হাজার ৯১৫ ও নন হাওর এলাকায় ৭৫ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতেবোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে।
মোতাব্বির হোসেন কাজল/ইবি টাইমস