ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠি জেলায় এ বছরের বোরো মৌসুমের আবাদ কর্তন শেষ হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের ধানের ন্যায্য মুল্য দেয়ার লক্ষ্যে ১০২২ মে: টন ধান ক্রয়ের লক্ষমাত্রা দিয়েছে। খাদ্য বিভাগ জেলার ৪টি খাদ্য গুদামে ইতিমধ্যে ২৬৬ মে: ট: ধান ক্রয় করেছে। এর মধ্যে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ৪৪৩ মে: টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৫৪ মে: টন, নলছিটি উপজেলায় ৫৪৫ মে: টন, লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১৮৪ মে: টন, রাজাপুর উপজেলায় ১৮ মে: টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১২ মে: টন ও কাঠালিয়া উপজেলায় ১৬ মে: টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১৬ মে: টনই ধান কৃষক পর্যায় থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে ধান ক্রয় করেছে। বিগত বছরের কেজি প্রতি ২৭ টাকা থেকে ১ টাকা বৃদ্ধি করে ২৮ টাকায় ধান কিনছে সরকার।
অন লাইন অ্যাপসের মাধ্যমে কৃষক ধান বিক্রি করছে এবং অ্যাপসের মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করা হয়েছে। ধান বিক্রি করতে পেরে কৃষকদের পক্ষ থেকে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে এবং অ্যাপসের মাধ্যমে লটারী করে কৃষক নির্বাচন করায় খাদ্য বিভাগের চাপ না থাকায় তাদের পক্ষ থেকে স্বস্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের তথ্য সূত্র অনুযায়ী একজন কৃষক সবোর্চ্চ ৩ মে: টন ধান বিক্রি করতে পারবেন। ধান শুকিয়ে সর্বনিম্ন ১৪% আদ্রতা থাকা ধান জেলার ৪টি উপজেলার খাদ্য বিভাগের গোডাউনে এনে কৃষকদের বিক্রি করছে। অন লাইনের অ্যাপসের মাধ্যমে কৃষকরা ধান বিক্রির জন্য নিবন্ধন করেছে।
গত ২৩ এপ্রিল থেকে খাদ্য বিভাগ ধান ক্রয় শুরু করেছে। ঝালকাঠি জেলায় ৪টি উপজেলার মধ্যে ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি উপজেলা বোরো প্রধান এলাকা। জেলায় এ বছর সাড়ে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে এবং এই দুই উপজেলায়ই ১১ হাজার হেক্টরের অধিক জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।
বাধন রায়/ ইবি টাইমস