অস্ট্রিয়া অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার ভ্যাকসিন ব্যবহার করবে না

অস্ট্রিয়া নতুন করে আর অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন অর্ডার করবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. ভল্ফগ্যাং মুকস্টাইন

ইউরোপ ডেস্কঃ অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ORF সংবাদ বিষয়ক অনুষ্ঠান Zeit im Bild (ZIB) জানিয়েছেন যে,অস্ট্রিয়া সরবরাহের অসুবিধার জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের জন্য আর নতুন কোন অর্ডার করবে না। বর্তমানে আমাদের কাছে যা এসে পৌঁছেছে তা প্রদান করা হলেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন শেষ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভল্ফগ্যাং মুকস্টাইনের (গ্রিনস) এর মতে, অস্ট্রিয়া এখন অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রদানের শেষ পর্যায়ে আছে। জুনের শুরু থেকে করোনার প্রতিষেধক অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের শুধুমাত্র প্রথম ডোজ দেয়া হবে। কেননা এই ভ্যাকসিন শেষ হয়ে গেলে আর নতুন করে আসবে না।

এখানে উল্লেখ্য যে,অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন গ্রহণের পর অস্ট্রিয়ার NÖ রাজ্যের একজন নার্স রক্তজমাট বাধা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ১০ দিন আইসিইউতে থাকার পর মৃত্যুবরণ করেন। ইউরোপের একাধিক দেশে একই ধরণের সমস্যা বিস্তার লাভ করলে প্রায় ১৫টি দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন প্রদান স্থগিত ঘোষণা করেন।

আজ অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন ৫৮২ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১৯ জন।

রাজধানী ভিয়েনায় আজ নতুন করে সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন ৭১ জন। অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে Tirol রাজ্যে ১২০ জন,OÖ রাজ্যে ৯৪ জন, Steiermark রাজ্যেও ৯৪ জন,NÖ রাজ্যে ৬৯ জন,Salzburg রাজ্যে ৪৫ জন, Kärnten রাজ্যে ৩৭ জন,Vorarlberg রাজ্যে ৩৪ জন এবং Burgenland রাজ্যে ১৮ জন নতুন করে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন।

অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে আজ সমগ্র দেশে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে ৪৯ হাজার ৯৬১ ডোজ। অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনার মোট ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে ৪১ লাখ ৬ হাজার ২৯৬ ডোজ।

অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৩৮,১৫৫ জন এবং এই পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ১০,৪৯৯ জন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন মোট ৬,১৮,৭৯৮ জন। বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৮,৮৫৮ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ২৭৫ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৮৯৯ জন। বাকীরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।

কবির আহমেদ/ ইবি টাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »