ঢাকা: ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের পর মুসল্লিদের মধ্যে পারস্পারিক কোলাকুলি-করমর্দনের ধুম পড়ে যায়। উৎসবের অনেকটা পরিচিত দৃশ্যই কোলাকুলি। পরিচিত অপরিচিত সকলেই একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে থাকেন। কিন্তু এবারের ঈদে তেমনটা দেখা যায়নি সেই চিরচেনা কোলাকুলি।
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ঈদের দিন কোলাকুলি-করমর্দন না করার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। সেটির প্রতিফলন ছিল মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের মধ্যে।
রাজধানীর বেশ কয়েকটি মসজিদ ঘুরে নামাজ আদায়ের পর মুসল্লিদের কোলাকুলির দৃশ্য খুব একটা চোখে পড়েনি। তবে, একই পরিবারের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে কোলাকুলি করেছেন। আবার সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করেই কোলাকুলি করেছেন কেউ কেউ।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের নামাজ আদায় করতে আসেন শরীফ হোসেন। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে এখানকার নামাজের ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। কোলাকুলি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলি করতে না পারায় একটা অপূর্ণতা তো রয়ে গেছে। অপর এক মুসল্লি অপু জানান, সরকার স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয় বিবেচনা করে কোলাকুলি করতে নিষেধ করেছে। চেষ্টা করছি মেনে চলার। বাহিরের কারো সাথে কোলাকুলি না করলেও পরিবারের নিকটজনের সাথে কোলাকুলি করেছেন বলে জানান তিনি।
ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে ঈদের নামাজ আদায়ে বেশ কিছু বিধিনিষেধ দিয়েছে। এক্ষেত্রে কোলাকুলি, করমর্দন করা থেকে বিরত থাকাসহ নামাজ আদায়ে ১২ দফা নির্দেশনা রয়েছে।
ঢাকা/ইবিটাইমস/আরএন