ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন: https://youtu.be/cCayUrAVbhM
ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস, ট্রেন ও লঞ্চ। এরপরও ঈদের ছুটিতে কর্মজীবী মানুষেরা পায়ে হেঁটে, অধিক ভাড়া দিয়ে, পিকআপ ভ্যান, ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে ঢাকা থেকে নাড়ির টানে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন।
ঘরমুখো মানুষের স্রোত ঠেকাতে রাজধানীর আশপাশের প্রবেশদ্বারগুলোতে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। তবে চেকপোস্ট বসিয়েও ঘরমুখো মানুষদের ঠেকানো যাচ্ছে না।
চেকপোস্টে পিকআপ ভ্যান ও মাইক্রোবাসে যাত্রীদের নামিয়ে গাড়ি ফেরত পাঠালেও মানুষ কিছুদূর হেঁটে গিয়ে অন্য কোনো ব্যবস্থায় ছুটছেন গ্রামের বাড়িতে। এতে যেমন সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে, তেমনি করোনার সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
বুধবার (১২ মে) রাজধানীর গাবতলী, আমিনবাজার ও হেমায়েতপুর এলাকায় দেখা গেছে, কয়েক হাজার মানুষ বাড়ি যাওয়ার জন্য যানবাহন খুঁজছেন। বেশিরভাগ মানুষই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।
এদিকে, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ। বহরে থাকা ১৬টি ফেরির মধ্যে ১৩টি চলছে। কিন্তু পদ্মা পারে অপেক্ষায় থাকা হাজার হাজার মানুষের তুলনায় তা খুবই অপ্রতুল। বুধবার সকাল থেকেই ঘাটে অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায় হাজার হাজার যাত্রীকে। পদ্মা পার হয়ে নিজ বাড়িতে ঈদ করতে মরিয়া এসব যাত্রীকে দিনভর প্রচণ্ড দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কার আগে কে ফেরিতে উঠবেন তা নিয়ে হুড়োহুড়িতে পড়েন যাত্রীরা। পন্টুনের কাছে মানুষের চাপ থাকায় ঘাটে ফেরি আনলোড করতে অনেক সময় লাগছে। অন্যদিকে, ফেরির জন্য দীর্ঘ অপেক্ষায় শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ মানুষের চরম ভোগান্তি হচ্ছে। ফেরিগুলোতে যাত্রীরা চাপাচাপি করে পদ্মা পার হচ্ছেন। এতে গরমে ও হুড়োহুড়িতে দুটি ফেরিতে মোট পাঁচ জন মারা গেছেন। আহত সাত-আট জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তবুও কোনো ভোগান্তিকেই পরোয়া করছেননা ঘরমুখো মানুষেরা।
ঢাকা/ইবিটাইমস/আরএন