আগামীকাল থেকে আবার প্রতিবেশী দেশে কেনাকাটা করা সম্ভব হবে
ইউরোপ ডেস্কঃ অস্ট্রিয়ার জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা Oe24 এবং সংবাদ সংস্থা এপিএ জানিয়েছেন যে,আগামীকাল বুধবার থেকে অস্ট্রিয়ার সীমান্তবর্তী জার্মানির বাভারিয়া রাজ্য ও অস্ট্রিয়ার মধ্যবর্তী সীমান্ত দিয়ে পুনরায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও উভয় দেশের লোকজনের আসা-যাওয়ার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
মঙ্গলবার ১১ মে অস্ট্রিয়ার সরকার প্রধান চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্জ এক সংক্ষিপ্ত সফরে জার্মানির Bayern রাজ্যে এসেছেন। বাভারিয়ার প্রধানমন্ত্রী মার্কাস সোডার (Markus Söder) রাজধানী মিউনিখে অস্ট্রিয়ার ফেডারেল চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্জের সাথে বৈঠকের পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, অস্ট্রিয়া আমাদের প্রতিবেশী বন্ধু এবং আগামীকাল থেকে আমাদের দুই সীমান্তের আত্মীয় স্বজনরা আবারও মিলিত হতে পারবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেশী দেশে আবারও কেনাকাটা সম্ভব বলে জানিয়েছেন Bayern এর প্রধানমন্ত্রী মার্কাস সোডার।
অস্ট্রিয়ার সরকার প্রধান চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্জ বলেন,বাভারিয়া এবং অস্ট্রিয়া উভয়ই শীঘ্রই আবার পর্যটনদের স্বাগত জানাতে একমত হয়েছে। অস্ট্রিয়া আগামী ১৯ মে থেকে তার ট্যুরিজম বা পর্যটন শিল্প খোলার ঘোষণা দিয়েছে। জার্মানির এই রাজ্যে ২১ মে থেকে পর্যটন পুনরায় খুলে দিচ্ছে।
অস্ট্রিয়ায় গত সাতদিনে করোনার সংক্রমণ ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে। অস্ট্রিয়ায় বর্তমান প্রতি এক লাখ জনপদে করোনার সংক্রমণ ১০০ এর নীচে। অন্যদিকে জার্মানির এই Bayern(বাভারিয়া) রাজ্যে প্রতি এক লাখ জনপদে করোনার সংক্রমণ ১১৬ জন।
আজ অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছে ৮৭০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ২১ জন। রাজধানী ভিয়েনায় আজ নতুন করে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছে ১২৯ জন। অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে Steiermark রাজ্যে ১৫৪ জন,OÖ রাজ্যে ১২৬ জন,NÖ রাজ্যে ১১৬ জন,Tirol রাজ্যে ১০৯ জন, Kärnten রাজ্যে ৭৮ জন,Salzburg রাজ্যে ৭৯ জন, Vorarlberg রাজ্যে ৬৪ জন এবং Burgenland রাজ্যে ১৭ জন নতুন করে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছে।
অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী আজ সমগ্র দেশে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে ৪৪,২৭৩ ডোজ। অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত মোট ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে ৩৬,৭৭,৬৫২ ডোজ।
অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৩২ ৭৬৬ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে মোট ১০,৪১৩ জন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন মোট ৬,০৭,৭১২ জন। বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৪,৬৪১ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ৩৬৬ জন এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১,২১৮ জন। বাকীরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
কবির আহমেদ/ ইবি টাইমস