লালমোহন ডাক বাংলো প্রাঙ্গণে নয়ন কাড়ছে কৃষ্ণচূড়া

লালমোহন প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহন পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ডাক বাংলো প্রাঙ্গন ও উপজেলা পরিষদ ভবনের পাশে প্রকৃতি প্রেমীদের নজর কাড়ছে দৃষ্টিনন্দন রক্তলাল কৃষ্ণচুড়া। লাল-হলুদের রঙে রাঙানো ফুলের প্রাণবন্ত রুপ দেখা গেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড এলকাতেও।

মৌসূম পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নান রংয়ের ফুলের সমারোহ প্রকৃতিকে যেন আরো প্রাণবন্ত করে তুলেছে। একদিকে আকাশে সূর্যের তাপের প্রখরতা, কখনো মেঘভাঙা কখনো কাঠফাটা রোদ্দুর, অপরদিকে গ্রীষ্মের এই রুক্ষতা ছাঁপিয়ে রক্তলাল কৃষ্ণচুড়া যেন নিজেকে স্নিগ্ধ ও দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে পরম মহিমায়।

গ্রীষ্মের প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন নিয়ে যে সকল ফুল ফোঁটে, তার মধ্য অন্যতম হলো কৃষ্ণচুড়া। হালকা পাতায় বরণ্য লাল সবুজে সবুজাভ। প্রকৃতিতে নজরকাড়া সৌন্দর্যময় লাল-হলুদের কৃষ্ণচুড়া যেন কিশোরীর কানের দুলের মত দুলছে লালমোহন উপজেলা পরিষদের ও ডাক বাংলোর চারদিক।

লালমোহন পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড ওয়েস্টার্ণ পাড়ার খাদ্য গুদাম এলাকা ও ডাকবাংলোর চারদিকে জুড়ে লাল-হলুদ রঙে রাঙিয়ে রেখেছে এ কৃষ্ণচুড়া ফুল। এদিকে গরমের তাপদাহ আর কৃষ্ণচুড়ার সৌন্দর্যে বিমোহীত হয়ে ডাক বাংলোর ভিতরে কৃষ্ণচুড়া গাছের ছায়ায় একটু স্বস্তির আশায় প্রাণ জুড়াতে বসতে দেখা গেছে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের।

ওয়েস্টার্ণ পাড়া এলাকার মোটর মেকানিক রাকিবের সাথে আলাপকালে সে জানায়, একদিকে পরিশ্রমের কাজ, অন্যদিকে প্রচন্ড গরমে দেহ যেন সিদ্ধ হয়ে গেছে। দোকানে বিদ্যুত আছে, ফ্যান চলে। কৃত্রিম বাতাসে থাকতে থাকতে শরীরটা কেমন দূর্বল লাগে। তাই গাছের নিছে ছায়ার তলে বসে একটু বিশ্রাম নেয়া। পাশাপাশি কৃষ্ণচুড়া ফুলের অপরুপ দৃশ্য মনকেও প্রশান্তি দেয়।

এদিকে অনেক পথচারীকে দেখা গেছে ডাকবাংলো সড়কের পাশে থাকা লাল-হলুদের রঙে রাঙানো কৃষ্ণচুড়ার সাথে মোবাইলে সেলফি তুলছেন। তাদের কয়েকজনের সাথে আলাপকালে তারা জানান, কৃষ্ণচুড়া সর্বত্র দেখা যায় না। এখানে বাহাড়ী রংয়ের কৃষ্ণচুড়া ফুলের সৌন্দর্যে বিমোহিত তারা। তাই মোবাইলের ক্লিকবাজির মাধ্যমে নিজের সাথে কৃষ্ণচুড়াকে সেলফিতে বন্দি করা।

সালাম সেন্টু /ইবি টাইমস

EuroBanglaTimes

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »