ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা করতে নেয়ার সুযোগ না দেয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকারের এ সিদ্ধান্তে আমরা নিঃসন্দেহে খুব হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
রোববার (৯ মে) রাতে এভার কেয়ার হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়াকে দেখে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, একটা মিথ্যা মামলা সাজিয়ে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। মূল উদ্দেশ্য ছিল তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া। এটা আজকের বিষয় না, ওয়ান ইলাভেন থেকে শুরু হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় শুধু তাকে একা নয়, দলের নেতাদের বিরুদ্ধেও এ ধরনের মামলা নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে খালেদা জিয়া এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার চিকিৎসকরাই বলেছেন এই চিকিৎসা যথেষ্ট নয়। কারণ তিনি করোনা পরবর্তী জটিলতায় ভুগছেন। তার যে বয়স এবং অন্য রোগ আছে যার কারণে তিনি যথেষ্ঠ ঝুঁকির মধ্যে আছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এটা খুব পরিষ্কার এই সরকার খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চায়। তার ফলই আজ সরকারের এই সিদ্ধান্ত। আমরা মনে করি এই সিদ্ধান্তের কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। এই সিদ্ধান্তটা শুধু মানবিক কারণেই নয়, রাজনৈতিক কারণও রয়েছে।
দুর্ভাগ্য আজ সরকার প্রতিহিংসামূলক যে রাজনীতি সেই রাজনীতিকে চরিতার্থ করতেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল বলেন, যে ধারায় তার সাজা স্থগিত করেছে, সেই ধারাতেই তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া এবং সাজা পুরোপুরি মওকুফ করার যথেষ্ঠ সুযোগ আইনের মধ্যে দেয়া আছে। সরকার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনের আসামিকে বাইরে পাঠিয়ে দিতে পারে। মাফ করে দিতে পারে। কিন্তু একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা যিনি এদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ, গণতন্ত্রের জন্যে কাজ করেছেন, তার জন্যে তাদের কোনো মানবতা কাজ করে না।
বেগম জিয়া কি রাজনীতির শিকার হলেন এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনীতির শিকার হয়েইতো আছেন। রাজনীতির শিকার হয়ে কারাগারে ছিলেন, এখনও অন্তরীণই আছেন বলা যায়।
আদালত অথবা রাষ্ট্রপতির কাছে কোনো আবেদন করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দল আবেদন করেনি, আবেদন করেছেন তার পরিবার। পরিবার সিদ্ধান্ত নেবে তারা কী করবে।
ঢাকা/ইবিটাইমস/আরএন