ঢাকা: উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাত্রার অনুমতি দেয়নি সরকার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল রোববার (৯ মে) বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে পরিবারের আবেদন বিবেচনা করতে পারছি না।
সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রী আরও বলেন, আইন অনুযায়ী যতটুকু করণীয় ততটুকু করেছি। কিন্তু আইনের বাইরে গিয়ে কিছু করা সম্ভব নয়।
এর আগে রোববার সকালে আইন মন্ত্রনালয় থেকে বেগম জিয়ার পরিবারের আবেদনে মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনারযে পাঠানো হয়। একটি সূত্র জানিয়েছে, আইন মন্ত্রণালয় তাদের মতামতে বলেছে, সাজাপ্রাপ্ত কাউকে এ ধরনের সুযোগ দেওয়া যায় না। এমন নজীর নেই। ফলে সাজাপ্রাপ্ত কেউ বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন না।
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর ২৭ এপ্রিল রাতে তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
শ্বাসকষ্টজনিত কারণে গত সোমবার খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। এখনো তিনি সেখানেই আছেন।
এর মধ্যেই গত বুধবার রাতে পরিবারের পক্ষ থেকে ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসায় গিয়ে আবেদন করেন। পরে এটি মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। গতকাল সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যায়। আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল।
গত বছর সারা বিশ্বে মহামারি করোনা ছড়িয়ে পড়লে শর্তসাপেক্ষে সরকার প্রধানের নির্বাহী আদেশে জামিন পান খালেদা জিয়া। প্রায় ২৫ মাস (কারাগার ও বিএসএমএমইউর প্রিজন সেল) কারাভোগের পর তিনি ২০২০ সালের ২৫ মার্চ মুক্ত হন।
ঢাকা/ইবিটাইমস/আরএন