ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থাপনার আওতায় হারভেষ্টার মেশিন দিয়ে মাঠ পর্যায়ে কৃষকের ধান কাটা হচ্ছে। এই মেশিনের সাহায্যে ঘন্টায় এক একর জায়গার ধান কাটা, মাড়াই-ঝাড়াই হয়ে বস্তাভর্তি করা যায়। ফলে ধান কাটার কৃষান মজুরী সাশ্রয় হয়, অল্প সময়ের মধ্যে বেশী জমির ধান কাটা যায় এবং বাড়িতে নিয়ে ঝাড়াই-মাড়াই করার প্রয়োজন হয় না।
এরফলে কৃষক ধান বস্তাবন্দী করে মাঠ থেকেই বাড়িতে নিয়ে যেতে পারছেন। ঝালকাঠি সদর উপজেলায় বাসন্ডা ইউনিয়নের আগবাড়ি গ্রামের আদর্শ কৃষক হুমাউন কবির ব্যাক্তিগত উদ্যোগে প্রকল্পের সহায়তা নিয়ে এই যন্ত্র কিনেছেন। হুমাউন কবির নিজের জমির ধান কাটার পরে মেশিনটি বানিজ্যিকভাবে ব্যবহার করে লাভবান হতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
কৃষি বিভাগ সূত্রে দাবী করা হয়েছে কৃষিবিভাগ কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদের জন্য যান্ত্রিকিকরণের বিষয় উৎসাহ দিচ্ছেন এবং সরকার কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য কৃষকদেরকে ৫০-৭০% ভতুর্কি দিচ্ছে। প্রকল্পের নীতিমালা অনুযায়ী ২৮ লাখ টাকা মুল্যের যন্ত্রটির জন্য সরকার ৫০% হারে ১৪ লাখ টাকা ভর্তুকি দিয়েছেন। গত ১৫ দিনে হুমাউন কবির আড়াই লাখ টাকা আয় করেছেন।
হুমাউন কবির জানান, বিভিন্ন এলাকায় মেশিন নিয়ে গিয়ে ৫০ একর জমির ধান কেটেছেন। তার ধান কাটার এই ব্যবসায় মেশিন চালনাসহ ৬ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। তিনি একর প্রতি ধান কাটার জন্য ৮ হাজার টাকা করে নেন। হুমাউন কবির জানান, ১ একর জমির ধান কাটার জন্য ১ হাজার টাকার প্রায় ১২ লিটার জ্বালানি তেল খরচ হয়।
এলাকার কৃষকরা জানান, ধান কাটার জন্য কৃষি শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না এবং খরচ অনেক বেশি। এই ধরনের মেশিন ব্যবহার করে কৃষকরা লাভোবান হচ্ছেন।
ঝালকাঠি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো: ফজলুল হক জানান, কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিক চাষাবাদের জন্য যান্ত্রিকিকরণের বিকল্প নেই। ঝালকাঠি জেলায় বোরো মৌসুমের আবাদের ৭৫ ভাগ কাটা শেষ হয়েছে।
ঝালকাঠি/ইবিটাইমস/আরএন