ভোলা জেলা প্রতিনিধি : ভোলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান দুই মাঝিকে তিন হাজার টাকা ও ট্রলার প্রতি তিন হাজার টাকা করে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। লকডাউন অমান্য করে ভোলা থেকে সকল নৌ-রুটে স্পিডবোট, ট্রলার ও সি-ট্রাকে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। এই ঘটনায় তিনটি ট্রলারসহ দুই মাঝিকে জরিমানা করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরি ঘাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে তিনটি ট্রলার উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে ভোলার ইলিশার উদ্দেশ্য ছেড়ে আসে।
এ সময় ইলিশা নৌ-থানা পুলিশ, ফাঁড়ি পুলিশ ও জেলা পুলিশের যৌথ অভিযানে তিনটি ট্রলারসহ দুই মাঝিকে আটক করা হয়।
আটকেরা হলেন নোয়াখালীর আন্ডার চর গ্রামের বাসিন্দা মো. আমানউল্লাহ, শরিয়তপুরের সখিপুর থানার বাসিন্দা আলি আজগর। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান দুই মাঝিকে তিন হাজার টাকা ও ট্রলার প্রতি তিন হাজার টাকা করে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আর লকডাউনের সময় অবৈধ উপায়ে যাত্রী পারাপার না করার জন্য মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
ইলিশা নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজন পাল বলেন, ‘আমরা খবর পাই যে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা পারি দিয়ে লক্ষ্মীপুরে মজু চৌধুরি ঘাট থেকে ২টি স্টিল বোডির ও ১টি কাঠের ট্রলারে করে ৩০০ যাত্রী নিয়ে অবৈধভাবে যাত্রী পার হচ্ছে। তখন অভিযান চালিয়ে ট্রলারসহ দুই মাঝিকে জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হয়।
সাব্বির আলম বাবু/ইবি টাইমস