৬ মে থেকে নিজ নিজ জেলায় গণপরিবহন চলবে,তবে আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। এছাড়া ট্রেন ও লঞ্চ বন্ধ থাকবে
বাংলাদেশ ডেস্কঃ বাংলাদেশের জাতীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছেন যে,সোমবার ৩ মে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মন্ত্রিসভার এক বিশেষ বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান,সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নতুন বর্ধিত এই লকডাউনে গণপরবিহন চলাচলের বিষয়ে তিনি জানান, বিধি-নিষেধ চলাকালীন শহরের ভেতর বাস বা গণপরিবহন চলাচল করবে। তবে, দূরপাল্লার বাস আগের মতোই বন্ধ থাকবে। এছাড়া শপিংমল-দোকানগুলোতে যদি স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে না মানা হয়, তাহলে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পুনরায় বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের জন্যে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার। পরের দিন ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের ১১টি সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর ৯ থেকে ১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়।
এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্যে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দেয় সরকার। সেই লকডাউনের মেয়াদ ২১ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তৃতীয় দফায় তা আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল ও চতুর্থ দফায় বাড়িয়ে ৫ মে করা হয়। গত ২৫ এপ্রিল থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে শপিংমল ও দোকান। চলমান বিধি-নিষেধের মেয়াদ আজ পঞ্চম দফায় বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হলো।
সোমবার ৩ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে দেশে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন ১,৭৩৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৬৫ জন।
দেশে এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭,৬৩,৬৮২ জন এবং এই পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ১১,৬৪৪ জন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন মোট ৬,৯১,১৬২ জন। বাংলাদেশে বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৬০,৮৭৬ জন।
কবির আহমেদ/ ইবি টাইমস