ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট; পিরোজপুর: পিরোজপুরে সন্ত্রাসী হামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি মো. সোহাগ শিকদার (৩০) সহ ৩ ছাত্রলীগ নেতা গুরুতর আহত হয়েছেন।
এ সময় তাদের বহরে থাকা ৪টি মোটর সাইকল ভাংচুর করা হয় । ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যায় পৌর সভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু শিকদারের বাড়ির সামনের রাস্তায়। আহতরা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহতরা হলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কুমারখালী এলাকার শাহে আলম শিকদারের ছেলে সোহাগ শিকদার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও পৌরসভার পালপাড়া এলাকার সেলিম কাজীর ছেলে কাইয়ুম কাজী (২২) ও শহরের সাপলাই মোড় এলাকার তপন চন্দ্র শীলের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী কৃষ্ণ শীল (২৫)।
সদর থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম বাদল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনা শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। হামলাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আহত জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহাগ শিকদার জানান, তিনি সহ ছাত্র ও যুবলীগের কয়েক জন কর্মী ওই দিন সন্ধ্যার আগে বাজার থেকে ইফতার কিনে মোটর সাইকেলে করে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় ওই ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে বসে কাউন্সিলর আবু শিকদার ও
ছেলে এম শিকদার, স্থাণীয় ক্যাডার আরমান , ওসমান সহ ৮-১০ জনে পূর্ব পরিকল্পিভাবে তাদের উপর হামলা করে। এ সময় তাদের বহন করা ৪টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে হামলাকারীরা।
জানা গেছে, হামলার সাথে জড়ির কাউন্সিলর মো. আবু শিকদারের বাড়ি ও হামলায় আহত সোহাগ শিকাদরের বাড়ি একই এলাকার পাশাপাশি। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এদের উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। কাউন্সিলর আবু শিকদার ওই ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সাধারন
সম্পাদক ছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে, হামলার সাথে জড়িত সোহাগ কয়েকদিন আগে একই এলাকায় দায়িত্বে থাকা ৩ পুলিশের এসআই সহ ৭ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে আহত করে। ওই মামলায় তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে কাউন্সিলর মো. আবু শিকদারের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি মসজিদে ইফতারি করতে যাওয়ার কালে সোহাগ শিকদার ৪টি মোটর সাইকলে করে এলাকায় ডুকে আমার বাড়ির সামনে গিয়ে আমার জামাতা ও আমাকে গালাগালি করে। এর প্রতিবাদ করলে তার লোকজন আমার সাথে রূঢ় আচরন করে। এ নিয়ে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করে তাদের আটকে রাখে । কোন মার-ধরের ঘটনা ঘটে নি।
এইচ এম লাহেল মাহমুদ/ইবি টাইমস