ঠাকুরগাঁও রুহিয়ায় মিষ্টি কুমড়োর ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করছে মৌ-চাষীরা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ মৌমাছি প্রকৃতির পরিবেশের নানা ফুলের থেকে মধু আহরণ করে গাছের ডালে মৌচাকে জমা করে সে মধু। বাংলাদেশের সুন্দরবন দেশের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক মধু সংগ্রহের শীর্ষে। তবে এই প্রাকৃতিক পদ্ধতির বাইরে দেশে কৃত্রিমভাবে মধুচাষ ব্যাপক প্রসার পাচ্ছে। এসব চাষীরা দল বেধে বিভিন্ন ফলের বা ফসলের মৌসুমে সেসব ফুলের মধু সংগ্রহের জন্য ছুটে যায় ক্ষেত বা বাগানের কাছে।

ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া থানার ঢোলারহাট ইউনিয়নের বোয়ালিয়া এলাকায় পালন করা মৌমাছি কুমড়োর ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করছে। চারিদিকে মাঠে সবুজে লতানো শত বিঘার উপরে মিষ্টি কুমড়োর গাছ। গাছের উপরে ফুটে আছে লক্ষ লক্ষ মিষ্টি কুমড়োর ফুল।

মাহাবুব জানান, তার বাড়ি দিনাজপুর জেলায়। ফুলের মধু সংগ্রহের জন্য ৪ শত বাক্স মৌমাছি নিয়ে এসেছেন রুহিয়ায়। ২৪ ঘণ্টা বাক্সের মুখ খোলা থাকে। সারাদিন মধু সংগ্রহ করে রাত্রে মৌমাছি বাক্সে চলে আসে। কোনো স্থানে যাওয়ার সময় বাক্সের মুখ আটকে নেওয়া হয়। প্রতি বাক্সে একটি করে রানী মৌমাছি এবং হাজার হাজার মাঠ কর্মী (শ্রমিক) মৌমাছি থাকে। রানী মৌমাছির আকার সবার থেকে বড় তাই বাক্সটি এমনভাবে তৈরি করা হয় অন্য মৌমাছি বাক্সে যেতে আসতে পারবে কিন্তু রানী মৌমাছি বের হতে পারবে না। সব মৌমাছি রানী মৌমাছিকে অনুসরণ করে তাই সময়মত সব মৌমাছি মধু সংগ্রহ করে বাক্সে চলে আসে।

মাহাবুব বলেন, ১৫ দিন পর চাক থেকে মধু সংগ্রহ করা হয় এবং ৪ শত বাক্স থেকে একমাসে প্রায় ২০ মন মধু সংগ্রহ করা যায়। বর্তমানে ১০ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তাঁরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে মৌমাছির মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করে থাকেন। মাহাবুব আরো বলেন, এখানে তারা ৪ জন এক মাস থাকবেন কুমড়োর মধু সংগ্রহের জন্য। এখানে থাকাকালীন সময়ে তাঁদের ব্যায় হবে প্রায় এক লক্ষ টাকা। মধু সংগ্রহ করতে পারবেন প্রায় ২ লক্ষ টাকার।

তাঁরা বলেন, মৌমাছি পালন একটি লাভজনক প্রকল্প। যে কেউ প্রশিক্ষণ নিয়ে এটা করতে পারেন এবং লাভবান হতে পারেন। কেউ আগ্রহী থাকলে আমার কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে মৌমাছি পালন শুরু করতে পারবেন আমি সহযোগিতা করব সবসময়।

নি প্র /ইবি টাইমস

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »