যারা গরিবের ৫ কেজি চালের লোভ সামলাতে পারে না,তাদের রাজনীতি ছেড়ে ভিক্ষা করা উচিৎ-শেখ হাসিনা
“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সব খবর রাখেন” । এটি লেখকের নিজস্ব মতামত। এর সাথে ইউরোবাংলা টাইমসের সম্পাদকীয় নীতিমালার সম্পর্ক নেই।
সাইফুল ইসলাম কবিরঃ ইদানীং কালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি উক্তি বেশ আলোচনায় এসেছে তা হলো – যারা গরিবের ৫ কেজি চালের লোভ সামলাতে পারেনা, তারা রাজনীতি ছেড়ে ভিক্ষা করা উচিৎ। এটি সব দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের জন্য চরম হুশিয়ারি বার্তা ও অবমাননা কর।
যেহেতু আমি আওয়ামী লীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী সে হিসেবে আমি আমার দলের কথা বলবো। আজকের বাস্তবতা হলো ৭০ % এমপি তার এলাকায় পরিবারতন্ত্র ও ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করে ফেলেছেন, হউক ইচ্ছায় না হয় অনিচ্ছায়। এটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য চরম হতাশার বহিঃপ্রকাশ। আজ ১২ বছর দল ক্ষমতায়,যাদের কারনে আজ দল ক্ষমতায় সেই নিবেদিত নেতাকর্মীদের আপনারা লাথি মেরে ফেলে দিয়াছেন।
উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে তাদের বাদ দিয়ে আপনাদের পরবিবার ও বিএনপি জামাতের লোকজন এনে পদ পদবি দিয়ে রেখেছেন। যাতে তৃণমূল থেকে আপনাদের নামটি যায় কেন্দ্রে । এর ফলে দলে মুক্ত চিন্তার নেতা কর্মী তৈরী হচ্ছে না, দল বিশাল ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে । দল ক্ষমতা থেকে গেলে বুঝতে পারবেন আপনারা কি ক্ষতি করে গেছেন।” তবে জাতির পিতার কন্যা এই নিবেদিত নেতাকর্মীদের ভুলে নাই ” আমরা প্রবাসে বসে সব খবর পাই। কেননা দেশের গড়িব দুংখি হতে শুরু করে আত্তীয় স্বজন নেতাকর্মী লেখক সাংবাদিক বুদ্ধিজীবী এবং দলের কিছু কেন্দ্রীয় নেতা সহ সবার সাথেই কথা হয়। সব জায়গাতেই হতাশার সুর। রেকর্ড পরিমাণ উন্নয়নের পরেও আজ দলের ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে কেন ?
আসুন সমস্যা গুলো চিহ্নিত করি। (ক) আসল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দুরে সরিয়ে রাখা এবং তাদের উপর দমন-পীড়ন। (খ) উন্নয়নের নামে বরাদ্দ দেওয়া কাজের মানসম্মত কাজ না করা ও টাকা হরিলুট। (গ) দখল বানিজ্য ও চাঁদা বাজী। (ঘ) সব জায়গাতেই সিন্ডিকেট করা। ( ঙ) সব জায়গাতেই শালিসি বোর্ড করে মানুষ কে জিম্মি করে ফেলেছে যেমনঃ- থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডে এরা দুই পক্ষের থেকে টাকা খায়। আর এই বোর্ডের নিয়োগ দেন এমপি সাহেব রা বোর্ডের নিয়ম হলো আগে টাকা জমা দেন তার পর বিচার। (চ) প্রতিটা দলিলে এক হাজার বারতি টাকা দলিল লেখক রেখে দিবে ওখান কার সমিতির নেতার জন্য। (ছ) রিকশা, হুন্ডা, লঞ্চ ঘাট, বাজার সব জায়গাতেই সিন্ডিকেট করে ব্যপক হারে চাঁদাবজি ইত্যাদি ইত্যাদি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার জীবন বাজী রেখে এই দেশটার জন্য কি না করে চলেছেন, অথচ এরা ৫ কে জি চালের লোভ সামলাতে পারে না, ওহে জনাবরা এখনো অনেক সময় আছে সাবধান হউন না হয় আগামী নির্বাচনে ঘারধরে বের করে দিবে। আর জনতার মাইর খেয়ে বাচতে পারবেন বলে মনে হয়না।
রাষ্ট্র বিজ্ঞানীরা বলেন রাজনীতির বিশ্লেষণে বাক্য বা বক্তব্যকে শব্ধার্থ দ্বারা বিচার করা ঠিক নয়- প্রকৃত মর্মার্থ বুঝতে হলে বিটুইন দ্য লাইন এর অর্থ খুজতে হবে। আমি মনে করি দলকে এখুনি ক্লিন ইমেজের নেতাকর্মী দিয়ে সাজানো উচিৎ। দেশ ও বিদেশ থেকে ক্লিন ইমেজের লোক নিয়ে একটি টিম এখনি তৈরি করা সময়ের দাবি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচনে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী না দিলে কি হবে যানিনা তবে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী দিলে জয় সুনিশ্চিত। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী ইউক ।
সাইফুল ইসলাম কবির,সাধারণ সম্পাদক,অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগ