পিরোজপুর: পিরোজপুরের নাজিরপুরের ৮নং শ্রীরামাকাঠী ইউপি চেয়ারম্যান উত্তম কুমার মৈত্রের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।
বরিবার (০২ মে) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) চৌধুরী রওশন ইসলাম সরেজমিনে ইউনিয়ন পরিষদ তদন্ত করেন বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
সরজনমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টায় ইউনিয়ন পরিষদের ভবনের দোতালায় ইউপি’র সকল মেম্বার ও নারী মেম্বাররা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান উত্তম কুমার মৈত্রের উপস্থিতিতেই এ তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মেম্বাররা প্রকাশ্যেই ইউপি চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুনূতির তথ্য তুলে ধরেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি ওই ইউনিয়নের ১২ মেম্বারদের মধ্যে ১১ জন জেলা প্রশাসকের কাছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই ইউনিয়ন পুরষদ কর্তৃক বরাদ্দকৃত নৈলতলা জ্যোতি প্রকাশ রায়ের বাড়ির নিকট একটি লোহার পুল মেরামত বাবদ ২ লাখ, খেজুরতলা সপ্তগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন লোহার পুল মেরামত বাবদ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা , গত অর্থ বছরে ৭৮ হাজার টাকায় মধুরাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিকট থাকা লোহার পুলের কাজ না করে পুরো টাকা আত্মসত সহ এলজিএসপি-৩ এর আওতায় প্রতি বছর বরাদ্দকৃত ১৮-২০ লাখ টাকার কাজ নিজের খেয়াল-খুশি মতো প্রকল্প দেখিয়ে তা আত্মসাত করেন।
ইউপি সদস্যদের দেয়া কাজ বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দের ও ইউনিয়নের উন্নয়ন মূলক টিআর-কাবিখা কাজেরও তাকে শতকরা ৩০ ভাগ উৎকোচ দিতে হয়। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, পঙ্গু ভাতা, হরিজন ভাতা, মৎস্য ভিজিএস কার্যক্রম, দুস্থ সাহায্যের তালিকা সহ গভীর নলকুপ প্রদানে
স্বজন প্রীতি ও বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ওই ইউনিয়নের কাঠালতলা সুনীল সন্যাসীর বাড়ির সামনে ত্রান ও পুর্ণবাসন প্রকল্পের আওতায় কালভার্ট নির্মান করা হলে সেখানে থাকা লোহার ব্রীজটির মালামাল আত্মসৎ করেছেন।
এইচ এম লাহেল মাহমুদ /ইবি টাইমস