ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠিতে প্রচন্ড তাপদাহ ও রমজানের মধ্যে একটু স্বস্তি এনে দিয়েছে বাজারে আসা পানিতাল।
ব্যাপকহারে এই তাল বাজারে না আসলেও নতুন করে বাজারে আসতে শুরু করেছে। তবে দাম তুলনামুলক বেশি। এক পিস তাল ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১টি পানিতালে ১-৩টি কোষ থাকে এবং এই সময়ে এই কোষগুলিতে তরল পানি জাতীয় পদার্থ থাকে যা পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ। এই কোষগুলিই পাকা তালে শক্ত আকার ধারণ করে তালবীজ হিসেবে পাওয়া যায়।
গ্রাম এলাকা থেকে ব্যাপারীরা গৃহস্থ পরিবারে তাল গাছের এই ফলন কিনে শ্রমিকদের দিয়ে গাছ থেকে কেটে বাজারে নিয়ে আসছে। একটি গাছে ২০০-৩০০ পিস তাল হয়। তালগাছ সাধারণত উচু হয় এবং এই গাছে উঠে ফলন কেঠে আনা অত্যন্ত কষ্টকর।
পানিতাল বিক্রেতা সদর উপজেলার বৈদারাপুর গ্রামের মজিবুর রহমান জানান,গৃহস্থ পরিবারের কাছ থেকে যে পরিমান টাকায় ফলন কিনতে হয় তার দ্বিগুন পরিমান টাকা লাগে তাল গাছ থেকে ফলন কেটে আনার জন্য শ্রমিক মজুরি। ঝালকাঠি জেলায় ক্রমান্বয়েই তাল গাছের সংখ্যা কমছে। যৌথ পারিবার ভেঙ্গে একাধিক পরিবার হওয়ায় আবাসন চাহিদা পুরণ ও ঘরবাড়ি তৈরিতে তাল কাঠের ব্যাবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে প্রতিনিয়ত তাল গাছ কাটা পরছে।
যদিও সরকারিভাবে কৃষিবিভাগের মাধ্যমে তাল গাছের চারা রোপন করে সংখ্যা বৃদ্ধির কর্মসূচি রয়েছে।অযত্ন ও অবহেলার মধ্য দিয়ে এই গাছ বেড়ে ওঠে। পাকা তাল খেতে সু-স্বাদু এবং এই তাল দিয়ে গরমকালে বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করা হয়।
বাধন রায়/ ইবি টাইমস