ঢাকাঃ কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবে তটস্থ পুরো বিশ্ব। এরইমধ্যে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানি হয়েছে ৩১ লাখেরও বেশি। প্রতিদিনই রূপ পরিবর্তন করে আরো শক্তিশালী হচ্ছে করোনা ভাইরাস।
তবে, ভাইরাসের মোকাবেলায় থেমে নেই বিশ্ব। বিজ্ঞানীদের প্রানান্তকর চেষ্টায় এরইমধ্যে করোনা মোকাবেলায় তৈরি হয়েছে ভ্যাকসিন।
সবচে কম সময়ে আসা করোনা ভ্যাকসিনের প্রয়োগও শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে। কিন্তু দ্রুততম সময়ে পৃথিবীর এতো মানুষের ভ্যাকসিনের যোগান অসম্ভব। তবে, বসে নেই ভ্যাকসিনের আবিষ্কারক ও উৎপাদনকারিরা।
ভ্যাকসিনের ক্যান্ডিট বা উদ্ভাবকের তালিকায় নাম আছে বাংলাদেশেরও। দেশিয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক গেল বছরের মে মাসে ভ্যাকসিন আবিস্কারের ঘোষণা দেয়। তবে, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানা প্রতিবন্ধকতায় সেটির তেমন অগ্রগতি নেই। ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন চেয়ে প্রতিষ্ঠানটির করা আবেদন আটকে আছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল- বিএমআরসিতে।
গ্লোব বায়োটেকের হেড অব কোয়ালিটি এন্ড রেগুলেটরি ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, তাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। বিএমআরসির অনুমোদন পেলেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারবেন তারা। করোনাকালীন জরুরি পরিস্থিতিতে অনুমোদনের দীর্ঘসূত্রিতায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. কাকন নাগ বলেন, পেন্ডামিক সিচুয়েশনে সিদ্ধান্ত নিতে এরইমধ্যে অনেক দেরি হয়ে গেছে। এখন আন্তরিক হয়ে দ্রুত ছাড়পত্র দিলে কম সমযে ট্রায়াল শেষ করা যাবে। প্রতিমাসে এক কোটি ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, টিকা নিয়ে বিশ্বে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। কিছুদিন পরই টিকার সঙ্কট দেখা দেবে। বঙ্গভ্যাক্সের অনুমোদন হলে বাংলাদেশের যেমন গৌরব হবে, তেমনি সঙ্কট মোকাবেলা সম্ভব হবে। অনুমোদনে দেরি হলেও তার বিজ্ঞানীরা বসে নেই। বলেন, ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে বঙ্গভ্যাক্সকে কিভাবে কার্যকর করা যায় সেটি নিয়ে কাজ করছেন তারা।
এদিকে বিএমআরসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অনুমোদন দিতে ইথিক্যাল কমিটির বৈঠকের প্রয়োজন। সে ব্যাপারে সরকারের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। যদিও তিনি ইথিক্যাল কমিটির সদস্য নন বলেও জানান।
ইবিটাইমস/আরএন