ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট; পিরোজপুর : পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় চেয়ারম্যানসহ তার দলবলের হামলায় এক ইউপি সদস্যসহ ৫ জন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওযা গেছে।
রোববার (২৬এপ্রিল)রাতে পাড়েরহাট ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় কাবিখার আওতাভূক্ত কাজকে কেন্দ্র করে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় ও আহতদের সূত্রে জানা যায়, ইন্দুরকানী উপজেলার ১নং পাড়েরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে বহুদিনের দায়িত্ব পালন করছেন নলবুনিয়া গ্রামের মৃত আব্দুস সত্তার হাওলাদারের পুত্র গোলাম সরোয়ার বাবুল (৬৫)। সেই সূত্রে কাবিখার বরাদ্দে হওয়া রাস্তার কাজে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ হানিফ হাওলাদার (৬৪) এর নাম প্রথমে থাকলেও পরে সেই নাম সরে যায়। সেই কাজ থেকে তার নাম সরে যাওয়ার কারণ চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি খারাপ ব্যবহার করেন।
পরবর্তীতে রাতে পরিষদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে চেয়ারম্যান, তার বড় ছেলে, স্থানীয় ইয়াকুব আলী হাওলাদারের ছেলে চৌকিদার শফিকুল ইসলাম স্বপন (৪৫), মোঃ সিদ্দিক আকন এর ছেলে উজ্জল আকন (৩২) ও সজল আক্তারসহ লাঠিয়াল বাহিনীর দেশীয় অস্ত্রের হামলায় স্থাণীয় ইউপি সদস্য মোঃ হানিফ হাওলাদার (৬৪) সহ আরো অনেকে আহত হন।
অন্যরা হলেন, ইউপি সদস্যের ছেলে আতিকুর রহমান (৩৫), প্রতিবেশী গদারহাওলা গ্রামের মৃত ইউসুফ আলী শেখ এর পুত্র মোঃ সিদ্দিক শেখ (৬৫), মৃত রাহেন উদ্দিন শেখ এর পুত্র মোঃ ফারুক শেখ (৫৫), মৃত আক্কেল আলী হাওলাদারের পুত্র আ. হক হাওলাদার (৫০), মৃত আজাহার আলীর পুত্র তোতা হাওলাদার (৫৩)। পরে আহতদের উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ১নং পাড়েরহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার বাবুল বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও নাটকীয়। মেম্বার নিজেই লোকজন নিয়ে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে ।বাজারে যাওয়ার পরে তার সাথে কিছু ছেলের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আমি সেই রাস্তায়
কাজের বরাদ্দ না দিয়ে অন্য রাস্তায় বরাদ্দ দিয়েছি বলেই আমার সাথে সে এমনটা করলো।
ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির জানান, আমি ছুটিতে থাকার কারনে বিষয়টি জানিনা। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এইচ এম লাহেল মাহমুদ/ইবি টাইমস