অন লাইন ডেস্কঃ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা-২০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান।
শনিবার ২৪ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে রাজধানী ঢাকার ইমপ্লাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। মৃত্যুর সময় তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান ঢাকার ধামরাই আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীও ছিলেন।
জিয়াউর রহমান খানের বাবা আতাউর রহমান খান এইচ এম এরশাদ ক্ষমতায় থাকার সময় প্রায় এক বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আতাউর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।
তার মৃত্যুর খবরটি প্রথম সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি দেওয়ান নাজিমুদ্দিন মঞ্জু। তিনি জানান,জনাব জিয়া কয়েকদিন যাবৎ অসুস্থ ছিলেন। তার পায়ে ইনফেকশন হয়েছিল। সেটার অপারেশনের জন্যই তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কিন্ত এর মধ্যেই তিনি করোনা পজিটিভ সনাক্ত হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থাতেই গতকাল শনিবার রাত ১০ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
প্রেসিডেন্ট এরশাদের আমলের সাবেক প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী আতাউর রহমান খানের ছেলে ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান ১৯৯০ সালে এরশাদ পতন -পরবর্তী সময়ে জাতীয় পার্টি ছেড়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে যোগদান করেন।
অবশ্য ১৯৮৫ সালে তার বাবা প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থাতেই তিনি ধামরাই উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। ওয়ান -ইলেভেনের আগে ও বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার শেষ মুহূর্তে ২০০৬ সালে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
তাছাড়াও তিনি ২০০৬ সালের বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের মনোনয়নও পেয়েছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে বাংলাদেশে নির্বাচনী সীমানা পুনবির্ন্যাসের পর নির্বাচনের আগে তিনি বিএনপিতে পুনরায় ফিরে আসেন। ধানের শীষের প্রার্থী হয়েও সেই নির্বাচনে পরাজিত হন তিনি। তবে এর পর তিনি আর কোন নির্বাচনে প্রার্থী হন নি।
ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তাঁরা মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
কবির আহমেদ/ ইবি টাইমস