চরফ্যাসন(ভোলা): ভোলার চরফ্যাসনের আসলামপুর ইউনিয়নে জোড়া সহোদর খুনের ১৪ দিন পর পোড়া দুই দেহাবশেষের মাথা ও খুনের কাজে ব্যবহৃত ছেনি উদ্ধার করেছে চরফ্যাসন থানা পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে খুনের কাজে ব্যবহৃত ছেনি এবং বৃহস্পতিবার বিকেলে পোড়া দুই দেহবাশেসের বিচ্ছিন্ন দুটি মাথা উদ্ধার করা হয়।
চরফ্যাসন থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও জমি গ্রহীতা মোঃ বেল্লালের দেয়া তথ্যমতে ঘটনাস্থলের অদূরে সুন্দরী খাল থেকে ছেনিটি উদ্ধার করা হয়। আর বিশেষ প্রক্রিয়ায় ঘটনাস্থলের ১ হাজার গজ উত্তরে ফরাজী বাড়ীর মহিবুল্লার ঘরের পিছনে রিং স্লাব দ্বারা নির্মিত টয়লেটের সেপটি ট্যাংক থেকে মাথা দুটি উদ্ধার করা হয়েছে।
ভোলা জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানিয়েছেন, পুলিশের জিজ্ঞাসা বাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা জানিয়েছেন লাশ দুটি চরফ্যাসন পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত উপেন্দ্র সরকারের ছেলে অমিত সরকার (৫৫) ও দুলাল সরকার (৪০)। এ ঘটনায় পুলিশ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ বেল্লাল,বেল্লালের শ্বশুর আবু মাঝি ও ভাই কাশেম কে গ্রেফতার করেছেন।
গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান,জমির কেনাবেচার লেনদেনের জের ধরে ঘটনার রাত সাড়ে ৯ টায় খুনিরা জমি বিক্রেতা দুই সহোদর কে ঘটনাস্থল আসলামপুর সুন্দরী ব্রীজ সংলগ্ন জামাল ভুইয়ার পরিত্যক্ত বাগানে নিয়ে প্রথমে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে গভীর রাতে দেহদুটি আগুনে পুড়িয়ে দেহ থেকে মাথা দুটি বিচ্ছিন্ন করে মাথা দুটি মহিবুল্লার বাড়ীর টয়লেটের সেপটি ট্যাংকিতে ফেলে দেয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের তথ্যের ভিত্তিতে তাদের কে সাথে নিয়ে মাথা দুটি এবং ছেনি উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ গত ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে আসলামপুরের সুন্দরী ব্রীজ সলগ্ন জামাল ভুঁইয়ার পরিত্যক্ত বাগানে স্থানীয় কৃষক আজাদ ছাগল চড়াতে গিয়ে পোড়া লাশ দেখে পুলিশ কে জানালে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠান।
জামাল মোল্লা /ইবি টাইমস