সাভার প্রতিনিধি : সাভারে চাঁদাবাজির অভিযোগে সাভার মডেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম দেওয়ান (২২)ও তার অন্যতম সহযোগী সাভার ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল রানাকে আটক করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
বুধবার (২২ এপ্রিল) বিকালে নামা গেন্ডা থেকে মাসুম দেওয়ান কে আটক করে থানায় আনলে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে আসা একই অভিযোগে অভিযুক্ত সাভার ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল রানাকে থানায় দেখতে পেয়ে তাকেও আটক করা হয়। মুরগি ব্যবসায়ী ওমর ফারুকের অভিযোগের ভিত্তিতে আটক হয় তারা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাভারের মুরগি ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এনে সাভারের বাজার বাসস্ট্যান্ডসহ আসে পাশের বাজার গুলোতে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করেন। মুরগী নিজেদের লোক দিয়েই আনলোড করেন এই ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ইজারাদার মাসুম ও তার সহযোগীরা আনলোড বাবদ মুরগী প্রতি ১ টাকা করে চাঁদা দাবি করেন। যার ফলে প্রতিদিন ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয় তাদের। ব্যবসায়ীরা এই বিশাল অংকের চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের উপর ১৬ এপ্রিল মারধর করে ইজারাদার মাসুমের সহযোগিরা।
সর্বশেষ ২১ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এঘটনায় সাভার মডেল থানায় যে অভিযোগ দায়ের করে ওমর ফারুক সহ বৃহত্তর মুরগী ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা তা অসত্য ছিল তবে এটা নিয়ে ঝামেলা রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সাভার পৌরসভার সদ্য ইজারাকৃত কুলিভিটের ইজারাদার মাসুম দেওয়ান। তারা সাভার পৌরসভা কর্তৃক টেন্ডারের মাধ্যমে ইজারা পেয়েছে এমন কাগজ দেখিয়ে অভিযোগ অসত্য প্রমাণিত করার চেষ্টা করে।
উল্লেখ্য,পূর্বের টেন্ডারে নির্দিষ্ট উল্লেখ না থাকলেও প্রত্যেক গাড়ি থেকে ৩৫০ টাকা করে নেওয়া হতো। মাসুম দেওয়ান দায়িত্বের পর প্রত্যেক গাড়ির মুরগি থেকে মুরগির মাথা পিছু ১ টাকা করে নির্ধারণ করে তারা। একটি গাড়িতে প্রায় ১১ শ থেকে ১২ শ মুরগি লোড হয়। আজকের পর আবার পূর্বের ন্যায় ৩৫০ টাকা করে নেওয়া হবে মর্মে সমঝোতা হয়। পরে দুই পক্ষের এমন সমঝোতায় মুচলেকা নিয়ে তাদের দুইজনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
মোঃ জীবন হাওলাদার/ইবি টাইমস