কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ভূমিকা রাখছে কমিউনিটি রেডিও

ঢাকা প্রতিনিধিঃ কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলার জন্য গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সচেতন করতে দেশের কমিউনিটি রেডিওগুলো সরকারি নির্দেশাবলী অনুসরণ করে প্রতিদিন ১৬০ ঘন্টা নিরন্তর অনুষ্ঠান প্রচার করছে।

বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এন্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) কমিউনিটি রেডিও স্টেশনগুলির জন্য প্রয়োজনীয় আপডেট তথ্য এবং উপকরণ সংগ্রহ করে প্রদান করছে।

জনগণকে বাড়িতে থাকা, এবং নিরাপদ থাকা, জরুরি ভিত্তিতে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন গ্রহণ করা, সভা-সমাবেশ এড়িয়ে চলা, মাস্ক পরা এবং ঘন ঘন হাত পরিস্কার করার বিষয়ে গ্রামীণ জনগণকে উদ্বুদ্ধ করছে।

বিশেষ করে প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে কোভিড-১৯ এর টিকা প্রদানে অগ্রাধিকার ও সরকার ঘোষিত কোভিডকালীন সময়ে যে বিভিন্ন প্রণোদনা ও সহায়তা প্রদান করছে সেগুলোতে সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে প্রাধ্যান্য দেয়ার জন্য বিশেষ গুরুত্বারোপ করে অনুষ্ঠান করছে।

কমিউনিটি রেডিও হলো গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে জনগণের মাঝে তথ্য প্রাপ্তির একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। গ্রামীণ জনগণ তাদের তথ্যের প্রাথমিক উৎস হিসাবে কমিউনিটি রেডিওর ওপর নির্ভর করে।

জাতীয় দৈনিক, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়াগুলো কোভিড-১৯ মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলার জন্য এই সমস্ত অনুষ্ঠানগুলো সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে রেডিওগুলোকে উৎসাহ প্রদান করছে।

এখন লকডাউন চলছে এবং কমিউনিটি রেডিও স্টেশনগুলি কমিউনিটি সার্ভিস এনাউন্সমেন্ট, রেডিও স্পটস, জিঙ্গেল, নাটক, ম্যাগাজিন, জেলা ও উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সাক্ষাৎকার,স্থানীয় জনগণের মতামত, সাক্ষাৎকার, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এর সাক্ষাৎকার এবং কোভিড-১৯ এর টিকা গ্রহণ করার ওপর বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।

কমিউনিটি রেডিওগুলো সর্বশেষ তথ্যের জন্য জেলা ও উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি এবং জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রেখে কাজ করছে। রেডিওগুলি দর্শনার্থীদের অফিসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে, সুরক্ষা সতর্কতা তৈরি করেছে, সম্প্রচারকারীদের শরীরের তাপমাত্রা নিরীক্ষণ করে এবং ঘন ঘন এবং নিয়মিত জীবাণুনাশক সরঞ্জাম ব্যবহার করছে এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক নিয়মকানুনগুলো কঠোরভাবে পালন করছে।

বিএনএনআরসি কোভিড-১৯ মোকাবেলায় চারটি অভিযোজন কৌশল নিয়ে কাজ করছে সেগুলো হলো সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে নতুন স্বাভাবিক পরিস্থিতির সাথে অভিযোজন বা পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়ানো ও তাঁদের বেঁচে থাকার জন্য ন্যায়সঙ্গত বিষয়ে দৃষ্টিপাত করা।সম্প্রচারকারী ও অংশীজনকে নতুন পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়ানো ও সহনশীল অবস্থা তৈরির জন্য অনুশীলনে গুরুত্ব আরোপ করা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে জনগণের জীবনের সার্বিক সুফল নিশ্চিত করা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং গণমাধ্যমে কার্যকর প্রবেশাধিকারের মাধ্যমে তথ্যের মহামারি প্রতিরোধ করে বস্তুনিষ্ঠ ও বিজ্ঞান ভিত্তিক তথ্যের মাধ্যমে জীবন ও জীবিকা সহজতর করা।

কোভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট সংকটে কমিউনিটি রেডিওগুলোর সম্প্রচার অব্যাহত রাখার জন্য সরকারী ও বেসরকারীভাবে জরুরি অনুদান প্রদানের দাবি জানানো হয়েছে।

হাফিজা লাকী/ ইবি টাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »