অস্ট্রিয়ার পূর্বাঞ্চলের ভূমিকম্পে মাঝরাতের পর কেপেঁ উঠলো রাজধানী ভিয়েনা

ইউরোপ ডেস্কঃ একটি ৪.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প লোয়ার অস্ট্রিয়া(NÖ) এবং ভিয়েনাকে নাড়া দিয়েছে। ভিয়েনা, হোলাব্রুন এবং এমনকি সালজবুর্গ পর্যন্ত ৪.৪ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে অস্ট্রিয়ান সংবাদ সংস্থা এপিএ। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল লোয়ার অস্ট্রিয়ার Neunkirchen জেলার প্রায় ৯ কিলোমিটার ভূগর্ভে।

অস্ট্রিয়ান সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট ফর মেটিরিওলজি অ্যান্ড জিওডাইনাইমিক্সের (ZAMG) এর রেকর্ড অনুসারে রাত ১২ টা ৫৭ মিনিট থেকে সকাল ৭ টা ১৬ মিনিট পর্যন্ত ১১ টি বিভিন্ন মাত্রার ভূমিকম্পন রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। প্রথম দিকের ভূমিকম্প রাজধানী ভিয়েনা,NÖ জেলার Wiener Neustadt এ অত্যন্ত স্পষ্টভাবে অনুভূত হয়েছে।

অস্ট্রিয়ার জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা Oe24 তাদের প্রকাশনায় জানিয়েছেন যে, মঙ্গলবার রাতে অস্ট্রিয়ার NÖ জেলার Neunkirchen জেলার ভূগর্ভস্থ প্রায় ৮ কিলোমিটার অভ্যন্তরে সংগঠিত ভূমিকম্পের পর, সেখানে পর পর আরও একাধিক বিভিন্ন মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করেছে অস্ট্রিয়ান সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট ফর মেটিরিওলজি অ্যান্ড জিওডাইনাইমিক্সের (জেডএএমজি)। তাদের মতে, প্রথম ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল সবচেয়ে বেশী ৪.৪ মাত্রার। তারপর সকাল পর্যন্ত ১.৫ থেকে ৩.২ পর্যন্ত ১১ টি ভূমিকম্প সংগঠিত হয়েছে।

পত্রিকাটির মতে,প্রথম দিকের ভূমিকম্পের কম্পনগুলি ভিয়েনা, হল্লাব্রুন,ভিনার নয়াস্টাড,বুর্গেনল্যান্ড এবং সালজবার্গ পর্যন্ত অত্যন্ত সুস্পষ্ট অনুভূত হয়েছে ।

রাজধানী ভিয়েনায় ভূমিকম্পের ফলে বাসার আসবাব পত্র নড়েচড়ে উঠলে অনেকেই ঘুম থেকে জেগে উঠেন।

গতরাতের এই ভূমিকম্পের ফলে কেন্দ্রস্থল জেলা Neunkirchen এলাকায় কিছুটা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন বাড়িঘর ও ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে।

এপিএর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে অস্ট্রিয়ার জেডএএমজি এর ভূমিকম্পবিদ আন্তন ভোগেলম্যান জানিয়েছেন, “যেমনটি প্রত্যাশা করা হয়েছিল, প্লাস্টারে সূক্ষ্ম হেয়ারলাইন ফাটলগুলির মতো কেন্দ্রস্থলে কিছুটা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।”  বিশেষজ্ঞ বলেছেন, “এখন অবধি জনসংখ্যা থেকে প্রায় ১০,০০০ হাজার মানুষ তাদের উপলব্ধি সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে।”  এটি অনুসারে, অনেকে নিশাচর কম্পনের “কোয়েকওয়াচ অস্ট্রিয়া” অ্যাপে রিপোর্ট করেছেন, যা স্পষ্টভাবে অনুভূত হয়েছিল।  ৪.৪ মাত্রার ভূমিকম্পের পর সকাল ৭:১৬ মিনিট পর্যন্ত ১.৫ থেকে ৩.২ এর মাত্রার এগারোটি আফটার শক হয়েছিল।

জেডএএমজির রিপোর্ট অনুসারে, ২০ বৎসরের মধ্যে গত ৩০ শে মার্চের ভিয়েনা অববাহিকার ৪.৬ মাত্রার ভূমিকম্পটি ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী।

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ভোগেলম্যানের মতে, প্রথম ভূমিকম্পের পর আফটার শক অবশ্যই আশা করা যায়। এর মধ্যে আবার লক্ষণীয় কম্পনও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞ আরও বলেন,গতকালের ভূমিকম্পটি ছিল মূলত গত ৩০ শে মার্চের মূল ভূমিকম্পের আফটার শক। অনেক সময় ভূমিকম্পের আফটার শক “দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেও সংগঠিত হয়ে থাকে”।

কবির আহমেদ/ ইবি টাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »