সাভার প্রতিনিধি : সাভার সরকারি কলেজে শিক্ষক কর্মচারী সহ প্রতিনিয়ত চার শতাধিক শিক্ষার্থীর যাতায়াত। এছাড়াও আজ ১২ এপ্রিল সকাল থেকে কলেজে যাওয়া শুরু করেছে করোনা সম্ভাবনা রোগীরা।
করোনাকালীন সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় অনলাইন ক্লাস ও রুটিন মাফিক কলেজে এসে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া, ২৮ মার্চ থেকে শুরু হয়ে আগামী ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর ট্রাস্ট ফান্ড থেকে শিক্ষা বৃত্তি পাওয়ার আশায় কাগজপত্র জমা দেওয়া, বকেয়া বেতন পরিশোধ সহ একাধিক প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের আসতে হয় কলেজ ক্যাম্পাসে।
আজ শিক্ষার্থীদের পূর্ব প্রস্তুতির অজান্তেই করোনা রোগীর ভিড়ে একাকার হয়ে যায় তারা। এসব দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো কলেজ ক্যাম্পাসে।মহামারী করোনার প্রথম দফায় সাভার অধরচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে করোনা টেস্ট এর নমুনা সংগ্রহ বুথ ছিল।
সারাদেশের ন্যায় সাভারে প্রতিনিয়ত করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় করোনা টেস্ট এর নমুনা সংগ্রহ বুথ সাভার সরকারি কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চরম হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে শিক্ষার্থীরা। তারা বলেছেন, করোনা ভাইসারের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য সাভার সরকারি কলেজের বিকল্প ক্যাম্পাস তারাপুর মাঠ ব্যবহার করলে শিক্ষার্থীদের জন্য ভাল হতো। এক্ষেত্রে ক্যাম্পাসে আমাদের চলাচল নিরাপদ হবে বলেও জানান তারা।
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রনি বলেন, কলেজে করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের বিষয়টি আমাদেরকে বিব্রত করেছে। এক্ষেত্রে ক্যাম্পাসের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারী সহ সকলেই অনিরাপদ বলে মনে করি।
সাভার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: ইমরুল হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সাভার সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসের বিকল্প হিসেবে তারাপুর ক্যাম্পাস টি ব্যবহারের কথা বলা হলেও প্রশাসন তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: সায়েমুল হুদার কাছে করোনা নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থানান্তরের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, করোনা প্রতিরোধ কমিটির সম্মিলিত সিদ্ধান্তে সাভার অধর চন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সাভার সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা হয়েছে। এক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মোঃ জীবন হাওলাদার/ইবি টাইমস