ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,পিরোজপুর : পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বাবুই পাখির বাসা ভাঙা ও দেড় শতাধিক পাখির ছানা হত্যার অপরাধে তিন জনকে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে পিরোজপুর জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার চাকমার ভ্রাম্যমান আদালত এ দন্ড প্রদান করেন। এসময় লুৎফর রহমান নামের একজনকে ১৫ দিনের, সুনিল বেপারীকে ৭দিনের ও সুশিল মিস্ত্রীকে ৩দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
জানা গেছে, গত শনিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ও এর আগে ২দিন বিভিন্ন সময় উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের হেমায়েত হোসেন মোল্লা ও তার ভাই লুৎফর রহমান মোল্লার নেতৃত্বে প্রায় দুই শতাধীক বাবুই পাখির বাসা ধ্বংস ও তাতে থাকা বাবুই পাখির ছানা হত্যা কার হয়। এ ঘটনাটি ইউরো বাংলা টাইমসে প্রকাশিত হয়।
এ ঘটনার জের ধরে সোমবার দুপুরে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার চাকমা সরেজমিন পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার সত্যতা পান। পরে তিনি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অভিযুক্তদের দন্ড প্রদান করেন।
স্থাণীয়রা জানান, উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে বোরো ধান চাষ করেন স্থাণীয় হেমায়েত হোসেন মোল্লা সহ কয়েকজন কৃষক । কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে সেই জমির বোরো ধান খায় একঝাঁক বিভিন্ন ধরনের পাখি। কিন্তু ওই জমির পাশেই দুইটি তাল গাছে রয়েছে বাবুই পাখির প্রায় দুই শতাধিক বাসা। পাখিতে ধান খেয়েছে এতে ক্ষিপ্ত হন ক্ষেত মালিক লুৎফর রহমান মোল্লা। তাই তিনি লোক নিয়ে ২ দু’দফা ওই পাখির বাসা ও ছানা নষ্ট করেন।
কিন্তু শনিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যার আবারও লুৎফর রহমান মোল্লার নেতৃত্বে সুনিল বেপারী ও সুশিল মিস্ত্রী এ ৩ জনে মিলে বড় একটি বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে ওই তাল গাছে থাকা বাবুই পাখির প্রায় দু’শতাধীক বাসা ভেঙ্গে মাটিতে ফেলে দেন। এসময় ওই সব বাসায় থাকা বাবুই পাখির ছোট ছোট ছানাগুলোও মেরে ফেলেন তারা। এ ছাড়া কিছু ছানা মেরে পাশের খালে ফেলে দেন।
ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে ঐ ৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে । দন্ড প্রাপ্তদের জেল হাজতে প্রেরণের প্রস্তুতিঅ চলছে।
এইচ এম লাহেল মাহমুদ/ইবি টাইমস