নিউজ ডেস্কঃস্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে অবকাঠামোগত উন্নয়নে পিছিয়ে পড়া কক্সবাজার দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দৃষ্টিতে কক্সবাজারকে ঘিরে নেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার মেগা প্রকল্প সহ ৭৭টি উন্নয়ন প্রকল্প। এসব প্রল্পের মধ্যদিয়ে কক্সবাজারকে দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। যা জাতীয় অর্থনীতির একটি বড় অংশ কক্সবাজার থেকে যোগান হবে। দ্রুত এগিয়ে চলা এসব প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে কক্সবাজার হবে একটি উন্নত ও পরিপূর্ণ পর্যটন নগরী। আর উন্নয়ন প্রকল্পে জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিপুরনের চেক হস্তান্তরে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। জেলা প্রশাসনের এ ব্যবস্থায় দুর্ভোগ কমেছে অধিগ্রহনকৃত জমি মালিকদের।
জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্যমতে, স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে অবকাঠামোগত উন্নয়নে পিছিয়ে পড়া কক্সবাজারকেই উন্নয়নের ক্ষেত্রে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে বর্তমান সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দৃষ্টিতে কক্সবাজারকে উন্নয়ন ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। ২০০৮ সালের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকেই কক্সবাজারে ধারাবাহিক উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে। এসব প্রল্পের মধ্যদিয়ে কক্সবাজারকে দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। কক্সবাজারে নেয়া হয়েছে ২৫টি মেগা প্রকল্প সহ ৭৭টি উন্নয়ন প্রকল্প। এসব প্রকল্পে ৩ লক্ষ কোটি টাকার অধিক বিনিয়োগ করা হচ্ছে। ৭৭টি প্রকল্পে প্রায় ১৪ হাজার একর জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে। জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিপুরণ ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৬৯৪ কোটি ৬১ লাখ ৪৭ হাজার ৯৮৩ টাকা। এর মধ্যে ৩ হাজার ৬১০ কোটি ৪৮ লাখ ৫০ হাজার ৪৬৩ টাকার চেক ক্ষতিগ্রস্থদের কাছে প্রদান করা হয়েছে। জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিপুরনের চেক হস্তান্তরে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। জেলা প্রশাসনের এ ব্যবস্থায় দুর্ভোগ কমেছে অধিগ্রহনকৃত জমি মালিকদের। জমি মালিকদের অত্যন্ত সচ্ছতার মাধ্যদিয়ে ক্ষতিপুরনের টাকার চেক প্রদান করা হচ্ছে। এমনকি জমি মালিকদের এলাকায় সরেজমিনে গিয়েও চেক প্রদান করা হচ্ছে। কোন হয়রানি ছাড়া ক্ষতিপুরনের টাকার চেক পেয়ে খুশি জমি মালিকরাও।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জানান, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প সহ জেলায় ৭৭ টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্পের অধিগ্রহনকৃত জমি মালিকদের অত্যন্ত সচ্ছতার মাধ্যদিয়ে ক্ষতিপুরনের টাকার চেক প্রদান করা হয়। এমনকি জমি মালিকদের এলাকায় সরেজমিনে গিয়েও চেক প্রদান করে আসছি। মামলা ও অভিযোগের কারনে কিছু টাকার চেক দেয়া বাকি রয়েছে। এসব বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের আবেদনপত্র শুনানি গ্রহন শেষে, প্রকৃত জমি মালিকদের কাছে ক্ষতিপুরনের টাকার চেক দেয়া হয়।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক জানান, আমরা সবসময় বিস্বাস করি যে, জনগন কে প্রকৃত সেবা দেয়ার প্রকৃয়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবসময় করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় জেলায় যেসব উন্নয়ন প্রকল্পের অধিগ্রহন কাজ চলছে, সেটাকে আরো জনমুখি করা, স্বচ্চতার সহিত, দূর্নীতি ও হয়রানিমুক্ত ক্ষতিপুরণ প্রদানে কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। কোন মধ্যস্বত্তভোগি ছাড়াই জমি মালিকগন নিজে আবেদন করে ক্ষতিপুরণের চেক গ্রহন করেন।
কক্সবাজারে চলমান ৭৭টি উন্নয়ন প্রল্পের মধ্যদিয়ে দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে উঠবে। দ্রুত এগিয়ে চলা এসব প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে কক্সবাজার হবে একটি উন্নত ও পরিপূর্ণ পর্যটন নগরী। এমনটাই স্বপ্ন দেখছে পর্যটন শহর কক্সবাজারবাসী।
তথ্য সুত্রঃ বিডিনিউজইইউ২৪ডটকম
নি ডে /ইবি টাইমস