ভোলা প্রতিনিধি : ভোলার মেঘনা নদীতে ফেরিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১০টি পিকআপ ও ট্রাক পুড়ে গিয়ে আট কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুজিত হাওলাদারকে প্রধান করে করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসন এ তদন্ত কমিটি গঠন করে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মহসিন আল ফারুক, ভোলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক ফারুক হোসেন ও ভোলা বিআইডব্লিটিএ সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে এ তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। ভোলা বিআইডব্লিটিএ সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন ভোলার ম্যানেজার মো. পারভেজ জানান, আগুনে চারটি কাভার্টভ্যান, তিনটি ট্রাক, একটি পিকাপ, একটি মোটরসাইকেল পুড়ে যায় এবং আরেকটি ট্রাক আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফেরিতে থাকা একটি পিকআপ ভ্যানের ককসিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ ঘটনায় ফেরিতে থাকা গাড়ির চালকদের সাথে কথা বলা হচ্ছে।
ভোলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, ভোরে ১৯টি গাড়ি নিয়ে ফেরিটি লক্ষ্মীপুর থেকে ভোলায় আসছিল। এর মধ্যে আগুনে ১০টি গাড়ি পুড়ে যায়। ফেরি এবং আরো নয়টি গাড়ি আগুনের হাত থেকে রক্ষা করে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা। আগুনে আট কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনা কবলিত ফেরিটি লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর ঘাট এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, আগুন লাগার সময় ফেরিতে থাকা যাত্রীরা বিভিন্ন ট্রলারে আশ্রয় নেয়ায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বৃহস্পতিবার ভোর ৩টার দিকে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাট ফেরিঘাট থেকে পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপ নিয়ে ভোলার উদ্দেশ্য ছেড়ে আসে ফেরি কলমিলতা। ৪টার দিকে ফেরিটি মেঘনার নদীর মাঝখানে পৌঁছালে ফেরিতে থাকা একটি ককসিটের গাড়িতে আগুন লেগে যায়। এতে মুহূর্তের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ভোলা থেকে অন্য একটি ফেরিতে করে ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড গিয়ে চার ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
সাব্বির আলম বাবু/ইবি টাইমস