ইউরোপ ডেস্কঃ গ্রেট ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপ আর নেই। আজ শুক্রবার সকাল তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৯ বৎসর। ভাইরাস সংক্রমণ ও হৃদরোগের কারণে প্রায় এক মাস যাবৎ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রিন্স ফিলিপ। ব্রিটেনের স্থানীয় সময় সকালে বাকিংহাম প্যালেস এই তথ্য জানিয়েছে।
রাজপ্রাসাদ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে মহামান্য রাণী তার প্রিয়তম স্বামী ডিউক অব এডিনবার্গ মহামান্য প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যু ঘোষণা করেছেন। মহামান্য আজ (শুক্রবার) সকালে উইন্ডসর ক্যাসেলে শান্তির সঙ্গে চিরবিদায় নিয়েছেন। পরবর্তী ঘোষণাগুলি নির্ধারিত সময়ে জানানো হবে।’
প্রিন্স ফিলিপ ১৯৪৭ সালে প্রিন্সেস এলিজাবেথকে বিয়ে করেন। এর পাঁচ বছর পর এলিজাবেথ ব্রিটেনের রাণী হন। এই দম্পতির চার সন্তান, আট নাতি-নাতনি ও ১০ জন প্রপৌত্র রয়েছে। ব্রিটিশ ইতিহাসে কোনো রাণীর সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের জীবনসঙ্গী ছিলেন প্রিন্স ফিলিপ।
বিবিসি জানান,এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারীতে প্রিন্স ফিলিপকে ‘সতর্কতাস্বরূপ’ লন্ডনের সপ্তম কিং এডওয়ার্ড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।
সেসময় বাকিংহাম প্যালেসের এক বিবৃতিতে বলেছিল যে, চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।কয়েক দিন ধরে তিনি অসুস্থ বোধ করছিলেন। তবে রাজপ্রাসাদ জানিয়েছেন এ অসুস্থতার সঙ্গে করোনা ভাইরাসের কোন সম্পর্ক নাই। আরও বলা হয়েছিল বর্তমানে তিনি হাসপাতালে অনেকটাই সুস্থতা বোধ করছেন। পরিকল্পনা করা হয়েছিল যে,তিনি আরও কয়েক দিন হাসপাতালে থাকবেন।
গত মাসে প্যালেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রিন্স ফিলিপ ও রানী এলিজাবেথ করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তাদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিগত চিকিৎসকই ভ্যাকসিন প্রদান করেছেন। তাছাড়াও করোনা মহামারীর শুরু থেকেই তারা উইন্ডসরের রাজপ্রাসাদেই রয়েছেন। এই সময়ে খুবই অল্পসংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তাদের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়েছে।
প্রিন্স ফিলিপ ১৯২১ সালের ১০ ই জুন গ্রীসের রাজ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। রাণী এলিজাবেথ ১৯৫২ সালে বৃটেনের সিংহাসনে আরোহণের পর প্রিন্স ফিলিপ ২০১৭ সালের আগস্টে অবসর নেওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসাবে বৃটেনের ২২ হাজার ২১৯টি একক সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নেন। রয়্যাল মেরিনসহ ৭৮০টির বেশি প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক, প্রেসিডেন্ট অথবা সদস্য প্রিন্স ফিলিপ ৬৩৭ বার বিদেশ সফর করেছেন এবং প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বক্তব্য দিয়েছেন।
কবির আহমেদ/ ইবি টাইমস