হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : সারাদেশের ন্যায় হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জেও লকডাউনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বন্ধ রয়েছে দূর পাল্লার গণপরিবহন চলাচল। আর গণপরিবহন বন্ধ থাকার সুযোগে পিকআপ – মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কারে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে।
ঢাকা থেকে অনেক যাত্রী প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে করে শায়েস্তাগঞ্জে আসছেন। গাদাগাদি করে ৩ জনের সিটে ৫ জন আসছেন।
নতুনব্রীজ থেকে অনেকেই পিকআপ যোগে সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ যাচ্ছেন।
যাত্রীদের অভিযোগ, সরকার লকডাউন ঘোষণা করলেও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও শিল্পকারখানা বন্ধ করেনি। ফলে তাদের জীবিকা টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ নতুনব্রীজে পরিবহন সংকট আর যাত্রীদের চাপ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই মাইক্রোবাস, পিকআপ, খোলা ট্রাক ও মোটরসাইকেলে গাদাগাদি করে গন্তব্যের উদ্দেশে রওয়ানা দিচ্ছেন যাত্রীরা।
এ বিষয়ে নতুনব্রীজ থেকে শ্রীমঙ্গলে যাওয়ার জন্য অপেক্ষমান চা-শ্রমিক অঞ্জনা বাউরী ইউরো বাংলা টাইমসকে জানান, সপ্তাহিক ভাতা উত্তোলনের জন্য তিনি শ্রীমঙ্গলে যাচ্ছে। ভাতা নিয়ে আবার ফিরে আসবেন।
আরেক যাত্রীকে লকডাউনের সময় বের হয়েছেন কেন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘কাজের জন্য বের হইছি, কাজ না করলে খাইমু কি?’
এসময় মহাসড়কে পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও তাদের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন,আমরা মহাসড়কে টহল দিচ্ছি। কোন পরিববহন যাত্রী নিয়ে চলাচল করলেই আটক করা হবে। পিকআপে যাত্রী পরিবহনের বিষয়ে তিনি বলেন আমাদের চোখের আড়ালে হয়তো এ ঘটনা ঘটছে।নজরদারি আরো বাড়ানো হবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলেই আটক ও মামলা দেয়া হবে।
মোতাব্বির হোসেন কাজল ইবি টাইমস