বাংলাদেশ ডেস্কঃ গত সোমবার ৫ ই এপ্রিল থেকে বাংলাদেশে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউন চলাকালীন সময়ে দেশের গণপরিবহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরিবহন বন্ধের ফলে সরকারী অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী,গার্মেন্টস শ্রমিক এবং বিভিন্ন শিল্প কারখানার শ্রমিকরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। ফলে সরকার এখন বাধ্য হয়ে কিছু বিধিনিষেধের মাধ্যমে পুনরায় গণপরিবহন চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার ৬ই এপ্রিল সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিকেলে তার নিজের সরকারি বাসভবন থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান। তিনি বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সব সিটি করপোরেশন অর্ধেক আসন খালি রেখে গণপরিবহন চলবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘লকডাউন পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও জনসাধারণের যাতায়াতে দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার গণপরিবহনে চলাচলের বিষয়টি শর্ত প্রতিপালন সাপেক্ষে পুনর্বিবেচনা করে অনুমোদন দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রতি ট্রিপের শুরু এবং শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত এবং পরিবহন সংশ্লিষ্ট ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কোন অবস্থাতেই সমন্বয়করা ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না।’
এদিকে গতকাল দেশের ইতিহাসে একদিনে করোনা ভাইরাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু ও আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নতুন করে আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন ৭,২১৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৬৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারানো ৬৬ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৯ জন এবং নারী ২৭ জন। আর তাদের মধ্যে বাড়িতে ২ জন এবং ৬৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যবরণ করেছেন।
দেশে এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৫১,৬৫২ জন এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে এই পর্যন্ত মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৯,৩৮৪ জন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন মোট ৫,৫৮,৩৮৩ জন। বাংলাদেশে বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৮৩,৮৮৫ জন।
বা ডে /ব্যবস্থাপনা সম্পাদক