ইউরোপ ডেস্কঃ আজ অস্ট্রিয়ার সংবাদ মাধ্যমের সাথে এক সাক্ষাৎকারে মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা.থমাস সিজেকেরেস (Thomas Szekeres) সমগ্র দেশেই করোনার সংক্রমণ পুনরায় বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও সমগ্র দেশে একসাথে লকডাউন ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন,করোনার সংক্রমণ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে আঞ্চলিক লকডাউন না দিয়ে দেশের ৯ টি রাজ্যেই একসাথে লকডাউন ঘোষণা করলে সংক্রমণের বিস্তার দ্রুত হ্রাস পাবে বলে তিনি মনে করছেন।
ইস্টারের ছুটির পর সরকার পূর্বাঞ্চলের তিনটি রাজ্য ভিয়েনা,লোয়ার অস্ট্রিয়া এবং বুর্গেনল্যান্ডের চলমান লকডাউনটি ১১ এপ্রিল থেকে বাড়িয়ে ১৮ ই এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে দেশের বাকী ৬ টি রাজ্যের ব্যবসা-বাণিজ্য,স্কুল, হেয়ারড্রেসার,জাদুঘর ইত্যাদি খোলা রয়েছে। তিনি হাসপাতাল ও নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটগুলির পরিস্থিতি নাটকীয় অবনতির জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে আরও জানান,খুব শীঘ্রই ভিয়েনা এবং পূর্ব অস্ট্রিয়া ছাড়াও সমগ্র দেশেই হাসপাতাল ও আইসিইউর উপর অতিরিক্ত চাপ পড়বে।
তিনি আরও যোগ করে বলেন,বর্তমানে দেশের পূর্বাঞ্চলের তুলনায় পশ্চিমাঞ্চলে করোনার সংক্রমণের বিস্তার কিছুটা কম হলেও শেষ হয়ে যায় নি। এক অংশে লকডাউন আর অন্য অংশে খোলার জন্য পুনরায় যে কোন মুহুর্তে করোনার সংক্রমণের বিস্তার আবারও ঘটতে পারে।তিনি সরকারকে সমগ্র দেশে লকডাউনের পাশাপাশি করোনার ভ্যাকসিন প্রদানের গতিকে আরও তরান্মিত করারও আহবান জানান। তাছাড়াও নতুন ভ্যাকসিন ক্রয়েরও পরামর্শ দেন।
আজ অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন ৩,১০১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ২৯ জন। রাজধানী ভিয়েনায় আজ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন ১,১৩০ জন। অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে OÖ রাজ্যে ৪৫৭ জন,NÖ রাজ্যে ৪৭৪ জন,Steiermark রাজ্যে ২৫২ জন, Tirol রাজ্যে ২১১ জন,Salzburg রাজ্যে ১৯৭ জন,Kärnten রাজ্যে ১৫৯ জন, Vorarlberg রাজ্যে ১১৮ জন এবং Burgenland রাজ্যে ১০৩ জন নতুন করে করোনায় সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন।
অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে আজ সমগ্র অস্ট্রিয়ায় করোনার ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে ৪০,২৬১ ডোজ। সমগ্র দেশে এই পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে ১৮,১৩,৮৬৭ ডোজ।
অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৬৬,০০৮ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ৯,৫৪৬ জন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন মোট ৫,২২,৭৭৪ জন। বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৩,৪৮৮ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ৫৮১ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২,৪৫৫ জন। বাকীরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
কবির আহমেদ/ ইবি টাইমস