বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ না কমলে বাড়তে পারে লকডাউনের সময়সীমা

বাংলাদেশ ডেস্কঃ বাংলাদেশের মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রথম দিন সংবাদ মাধ্যমেকে জানিয়েছেন যে,মূলত দেশে  করোনার সংক্রমণ কমিয়ে আনার জন্যই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যদি দেখা যায় যে,এক সপ্তাহের লকডাউনে করোনার সংক্রমণ কমছে না তখন লকডাউনটি আর বর্ধিত করা হতে পারে। তিনি আরও জানান,সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল,যদি দেখা যায় হাসপাতালে রোগীর ভর্তি এবং আইসিইউর উপর চাপ অব্যাহত থাকে, তাহলেও লকডাউনের সময় আরও বাড়ানো হতে পারে।এই সপ্তাহের শেষে পুনরায় সরকারের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন।

এদিকে আজ বিবিসি বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছেন যে,সরকার দেশের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার রোধে বাংলাদেশের মসজিদে জামায়াতে নামাজ আদায়ে ১০ টি নির্দেশনা দিয়েছেন। আজ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এক জরুরী বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,শর্তসাপেক্ষে দেশের মসজিদ সমূহে জামায়াতে নামাজের জন্য আবশ্যিকভাবে নিম্নবর্ণিত শর্তসমূহ পালনের জন্য অনুরোধ করা হল।

বর্তমান করোনার লকডাউন চলাকালীন সময়ে মসজিদে জামায়াতে নামাজ পড়তে যেসব শর্ত মানতে হবে তা নিম্নে বর্ণনা করা হল :

 

১. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লীকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।

২. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে, সুন্নাত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৩. মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে, মুসল্লীগণের প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে ।

৪. কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

৫. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোন অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামায়াতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে।

৬. সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওযুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৭. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত কল্পে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

৮. মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না।

৯. করোনা ভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব ও ইমামগণ দোয়া করবেন।

১০. সম্মানিত খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে যে, উল্লেখিত নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

আজ লকডাউনের প্রথম দিনে বাংলাদেশে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন ৭,০৭৪ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৫২ জন।

দেশে এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৪৩৯ জনে এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে এই পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ৯,৩১৮ জন। দেশে বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮০,০০০ হাজার।

বা ডে /ব্যবস্থাপনা সম্পাদক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »