পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সুইসাইড প্যাড লিখে মো. হাফিজুল ইসলাম হাওলাদার (২৫)নামের এক কলেজ ছাত্র আত্মহত্যা করেছেন। তিনি উপজেলার টগরা গ্রামের ব্রীজটোল সংলগ্ন বাদশা হাওলাদারের ছেলে। সোমবার (০৫ এপ্রিল) সকালে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। সে ইন্দুরকানী সরকারী কলেজের ছাত্র ও স্থাণীয় শেখ ফজলুল হক মনি ব্রীজের টোল আদায়ের কাজ করতো।
নিহতের পরিবার ও স্থাণীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন সকালে ৮টার দিকে ওই যুবককে তার পরিবারের লোকজন নিজ ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এসময় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ইন্দুরকানী ও পরে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু বলে ঘোষনা করেন।
তবে কি কারনে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা জানা যায় নি। তিনি গত ২ মাস আগে বিয়ে করেছেন। বিয়ের বাসর ঘরটি এখনো সাজানো রয়েছে।
মৃত্যুর আগে ওই যুবক তার সুইসাইড প্যাডে লিখেছেন ‘ বিদায় পৃথিবী। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। দয়া করে আমাকে মাফ করে দিয়েন। দয়া করে আমার লাশটা ময়না তদন্ত করবেন না’।
এ সময় তিনি তার নিকট আত্মীয় ও বাবা-মা’র উদ্দেশ্যে লিখেছেন-‘বাবা-মা আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন বিনিময় কিছুই দিতে পারি নি। আমার এমন পরিনতি হবে কখনো ভাবি নি।আপনারা আমার চাওয়া কখনো অপূরন রাখেন নি। যা চাইছি দিছেন কখনো কৈফিয়ত চাননি তারপরও আমার এমন পরিনতি হলো কেনো? বাবা-মা আমারকে মাফ করে দিয়েন। বোনরা আমার সবাই ভালো থেকো।, যদি পারো আমার জন্য দোয়া করো। বড় ভাইয়া আমাদের পরিবারটাকে নিজের মতো দেখে রাইখেন আর ছুরু বড় হলে নিজের বোনের মতো বিবাহ দিয়েন।লামু সোনা পাখি, আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছো। তোমার জন্য কিছুই তরতে পারি নি। আমাকে ক্ষমা করে দিও’। এ সময় তিনি তার পিতা-মাতার উদ্দেশ্যে আরো লিখেন-‘আব্বা আমার গাড়িটা বিক্রি করে আমার কাছে পাওনা ৮১ হাজার টাকা (৪ পাওনাদারের নাম ও পাওনা টাকা উল্লেখ করে) দিয়ে (পরিশোধ) দিবেন ।
ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন করিব জানান, ওই যুবকের আত্মহত্যার খবর নিশ্চিত করে জানান, তার আত্মহত্যার খবর পেয়েছি। মরদেহটি উদ্ধারের জন্য সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ওসি আরো বলেন, নিহতের মা নাছিমা বেগম আমাকে (ওসি) জানিয়েছেন তার কাছে জ্বীনের আছর ছিলো। চিকিৎসকের পরামর্শ মতে গত জানুয়ারী মাসে তাকে বিয়ে করানো হয়’।
এইচ এম লাহেল মাহমুদ/ইবি টাইমস