চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের ‘পদধ্বনি’র ১৪১৫ তম আসর অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ  শুক্রবার  বিকালে চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ কার্যালয় “কুঞ্জ আফিয়েত” এ চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর ‘পদধ্বনি’র ১৪১৫ তম আসর অনুষ্ঠিত হয়।

সাহিত্য পরিষদের সভাপতি কবি নজমুল হেলালের সভাপতিত্বে ও কাজল মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ আসর উৎসর্গ করা হয় গত ১ এপ্রিল রাতে প্রয়াত চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সাবেক সহ-সভাপতি বিশিষ্ট রম্যলেখক মোখতার আলীকে।

সভার শুরুতে এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে প্রয়াত মোখতার আলীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। মোখতার আলীর দু’টি লেখা পাঠসহ কর্মময় জীবনের উপর আলোকপাত করেন কাজল মাহমুদ। প্রয়াত মোখতার আলীকে স্মরণ করে চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সাবেক সভাপতি। বাবু বনোয়ারী লাল বাগলার পাঠানো শোকবার্তা পাঠ করেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ছড়াসম্রাট আহাদ আলী মোল্লা।

আসরে চিরায়ত সাহিত্য থেকে কবি কল্যাণ দাশগুপ্তের ‘বুকের সিন্দুকে’ কবিতা আবৃত্তি করেন আফসানা কণা। এরপর স্বরচিত লেখা পাঠ করেন শোয়েব আক্তার, আকলিমা খাতুন, আব্দুস সালাম দৌলতী, হারুন-অর রশিদ, হেলাল হোসেন জোয়ার্দ্দার, আব্দুল হামিদ, মতিয়ার মিল্টন, হোসেন মোহাম্মদ ফারুক, ইব্রাহিম খলিল, সুমন ইকবাল, অমিতাভ মীর, গোলাম কবীর মুকুল প্রমুখ।

পঠিত লেখার উপর আলোচনা করেন কাজল মাহমুদ, আহাদ আলী মোল্লা, অমিতাভ মীর, অ্যাড. সৈয়দ হুমায়ুন কবীর ও কবি নজমুল হেলাল।

আসরে চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক কবি অমিতাভ মীর সম্পাদিত ১৪ জন কবির যৌথ কাব্যসংকলন “লকডাউন”-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সংকলনটিতে প্রতি কবির জীবনবৃত্তান্তসহ দশটি করে কবিতা সংকলিত হয়েছে এবং ১৪ জন কবির মধ্যে চুয়াডাঙ্গার ৮ জন কবি রয়েছেন, একজন ভারতের কবি ও বাকি ৫ জন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসরত বরেণ্য কবি। মোড়ক উন্মোচনের পর “লকডাউন” কাব্য সংকলনের খুঁটিনাটি বিষয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেন নবনির্বাচিত লোকসাহিত্য সম্পাদক কাজল মাহমুদ ও কবি নজমুল হেলাল।

উল্লেখ্য, প্রতি শুক্রবার বিকালে চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদ প্রাঙ্গণে স্বরচিত লেখা পাঠের আসর ‘পদধ্বনি’ অনুষ্ঠিত হয়। এ আসর সবার জন্য উন্মুক্ত। আগ্রহী লেখক কবি সাহিত্যিকরা “পদধ্বনি” আসরে আমন্ত্রিত।

সাকিব হাসান /ইবি টাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »