শনিবার ৩ এপ্রিল থেকে ফ্রান্সে পুনরায় ৪ সপ্তাহের লকডাউন

বর্তমানে সমগ্র ইউরোপে করোনার তৃতীয় প্রাদুর্ভাব চলছে

ইউরোপ ডেস্কঃ ইউরোপের অন্যতম মোড়ল দেশ ফ্রান্সে আবারও করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো চার সপ্তাহের জন্য সমগ্র দেশে লকডাউন ঘোষণা করেছেন। অবশ্য ইতিপূর্বে আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল দেশের ১৬ টি অঞ্চলে। বর্তমান নতুন লকডাউনে ৩ সপ্তাহের জন্য দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলে জানিয়েছেন সংবাদ সংস্থা এএফপি। আগামীকাল শনিবার ৩ এপ্রিল থেকেই এই ঘোষণা কার্যকর হবে। সংবাদ সংস্থা জানিয়েছেন যে,দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্তকে প্রায় সকল পক্ষ থেকেই স্বাগত জানানো হয়েছে।

টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেন, আমরা নার্সারি, প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়গুলো ৩ সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। করোনার বর্তমান এই নতুন প্রাদুর্ভাবের ফলে আমরা যদি এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করি  তাহলে আমরা আমাদের দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারি। ফ্রান্সের বর্তমান করোনা পরিস্থিতিকে ‘ভঙ্গুর’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন তিনি। তাই প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এপ্রিল মাসকে  ফ্রান্সের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস হিসাবে উল্লেখ করেছেন।

তিনি জানান, একদিকে ভ্যাকসিন দেওয়া ও অন্যদিকে ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের প্রতিযোগিতা আমাদেরকে এক নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাড়ঁ করিয়েছে।

এখানে উল্লেখ্য যে, ফ্রান্সে গত মার্চের শুরুর দিকে ১৬ টি অঞ্চলে প্রস্থান নিষেধাজ্ঞা সহ করোনার কিছু কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। সেই আংশিক লকডাউনটিই এখন আগামীকাল শনিবার থেকে তা বর্ধিত আকারে সমগ্র দেশব্যাপী কার্যকর করা হলো।

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো আরও বলেন, দেশের ১৬ টি অঞ্চলে মার্চ মাসের শুরুর দিকে যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল, তা এখন সমগ্র দেশব্যাপী বর্ধিত করা হয়েছে।

বর্তমান নতুন এই লকডাউনের বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে নিত্য-প্রয়োজনীয় নয় এমন দ্রব্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, কোনো ব্যক্তির বাড়ির ১০ কিলোমিটারের মধ্যে শরীরচর্চার জায়গা সীমিতকরণ ও বিশেষ কারণ ছাড়া দেশের অন্য কোথাও ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা। তাছাড়াও সমগ্র ফ্রান্স জুড়ে সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে। ম্যাক্রো জানান, ইস্টার উপলক্ষে ছুটি দেওয়া হবে যেন মানুষজন তাদের পছন্দমতো জায়গায় গিয়ে যথাযথ বিধিনিষেধ মেনে তা উদযাপন করতে পারে।

কবির আহমেদ/ ইবি টাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »