চরফ্যাসন(ভোলা) : দ্বীপ জেলা ভোলার সর্ব দক্ষিণে রয়েছে চরফ্যাসন উপজেলা। যার দক্ষিণ প্রান্তে রয়েছে বঙ্গোপসাগর। চরফ্যাসন উপজেলার মধ্যে রয়েছে চর মানিকা,চর নিজাম,চর পাতিলা, চর কুকুরী মুকরী ও ঢালচরসহ অসংখ্য চর।
এসকল চর গুলোর মাঝে রয়েছে তারুয়া দ্বীপ। যার মাঝে লুকিয়ে আছে অপরুপ সৌন্দর্যের সমারোহ। স্ব-চোখে না দেখলে বুঝাই যাবে না সৌন্দর্যের এই লীলাভূমি। যা কিনা সমুদ্র সৈকতও বটে। তবে সেখানে গড়ে উঠেনি মানুষের বসবাস।
চরফ্যাসন শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটর দূরে তারুয়ার অবস্থান। শহর থেকে কিছু দূর পাকা সড়কের পর নদী পথে যেতে হয় তারুয়া দ্বীপটিতে। প্রতিদিন ভীড় করতে থাকেন পর্যটকরা উপভোগ করেন সেখানকার নানা জাতের পাখিদের কলকাকলি,বিভিন্ন প্রাণী আর সাগরের উত্তাল ঠেউয়ের গর্জন। প্রকৃতি নিজ হাতে তারুয়া দ্বীপটিকে সাজিয়ে তুলেছেন।
দ্বীপটিতে হরিণ,কাকড়া,শিয়াল,বনবিড়াল ও সাপসহ রয়েছে বৈচিত্র্যময় প্রাণী। এমনকি সেখানে দেখা মিলবে চকচকে সাদা বালি আর লাল কাঁকড়ার লুকোচুরি। পাশাপাশি দেখা মিলবে সুর্যোদয় ও সুর্যাস্তের অপরুপ দৃশ্য। সবুজ বৃক্ষের সমারোহ আর পাখিদের কলরবে মুখরিত তারুয়া দ্বীপ পর্যটন এলাকা হিসেবে গুরুত্বের দাবি রাখে।
তারুয়া দ্বীপটিতে যে সমুদ্র সৈকতের প্রাকৃতিক অপরুপ সৌন্দর্যের কথা আমাদের অনেকের অজানা। ঢালচরের ম্যানগ্রোভ বনের মধ্যে তারুয়ার বন অন্যতম । এই তারুয়া বনে রয়েছে গেওয়া, গড়ান, কেওড়া, বাইন, রেইন্ট্রিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ। শীতের মৌসুম এলেই এখানে দেখা মিলবে হাজার হাজার পাখির কিচ কিচ শব্দ।
এ বিষয়ে চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল জানান, চরফ্যাসনে প্রচুর প্রর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার সম্ভাবনা রয়েছে। কারন পর্যটন এলাকাগুলোতে প্রাকৃতি পরিবেশ রয়েছে। এসব দ্বীপ গুলো যাতে করে পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে উৎসাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জামাল মোল্লা /ইবি টাইমস