নিউজ ডেস্কঃ ভিয়েনাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আজ গণহত্যা দিবস পালিত হয়। এ বিষয়ে আয়োজিত এক অনলাইন আলোচনা সভায় ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের কালরাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতম হত্যাযজ্ঞে নিহত শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। সঞ্চালনায় ছিলেন দূতাবাসের প্রথম সচিব ও দুতালয় প্রধান মোঃ তারাজুল ইসলাম।
এরপর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বিশেষ আলোচনা সভা শুরু হয়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন দূতাবাসের সহকারি কন্সুলার কর্মকর্তা জুবায়দুল হক চৌধুরী ।
আলোচনা সভায় দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন,দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের উপ-প্রধান রাহাত বিন জামান ।
আলোচনা সভায় অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া ও স্লোভাকিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ,সাংবাদিক, ছাত্র এবং অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
এই ভার্চুয়াল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন, অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম, নজরুল ইসলাম,অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম,অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন,অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির,অষ্ট্রিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মিসেস নাসরিন নাহিদ,ইউরো সমাচার পত্রিকার চিফ এডিটর আবিদ হোসেন খান তপন, অষ্ট্রিয়া- বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও ইউরো সমাচার সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা রুহিদাস সাহা, ইয়াসিম মিয়া বাবু, হাঙ্গেরির ছাত্র শাজান আলী, নিয়ামত আলী, স্লভেনিয়া থেকে রাকিব হাসান রাফি প্রমুখ ।
আলোচনায় বক্তাগণ ১৯৭১ সালে ২৫ শে মার্চে সংঘটিত ইতিহাসের এই জঘণ্যতম গণহত্যার চিত্র তুলে ধরে তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও যথাযোগ্য বিচার দাবি করেন।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত তাঁর বক্তব্যে স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ, ২৫ শে মার্চের সকল শহিদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বাঙালির জাতিসত্ত্বা নিশ্চিহ্নকরণের লক্ষ্যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক ২৫ মার্চ রাতে ও তৎপরবর্তী সময়ে পরিকল্পিত নারকীয় হত্যাকান্ডের পূর্বাপর ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশকে মেধাশূন্য করা, ভাষা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে নিশ্চিহ্ন করার এই অপপ্রয়াস পাকিস্তানীদের নীল নকশার অংশ।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর মত একজন দূরদর্শী নেতৃত্বের গুণেই মাত্র নয় মাসে আমরা এই স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশকে পেয়েছি। তিনি তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে দেশের চলমান উন্নয়ন চিত্রও তুলে ধরেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তর করতে পারবো বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আলোচনা শেষে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ, জাতীয় চার নেতা, ২৫ শে মার্চের সকল শহিদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি ও অব্যাহত সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।