চরফ্যাসন ( ভোলা) : ভোলা চরফ্যাসনে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার তিন দিন সফরের শেষ দিনে সাংবাদিকদের সাথে এক মত বিনিময় কালে বলেছেন, ভোলা জেলা কে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে মুক্ত করা হবে৷ তিন দিনের সফরে চরফ্যাসন, মনপুরা, কুকরি মুকরি, ঢাল চর সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন৷
শনিবার ২০ মার্চ বেলা ৩টায় চরফ্যাসন ফ্যাশন স্কয়ার শেখ রাসেল শিশু ও বিনোদন পার্কে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বঙ্গবন্ধুর আলোকচিত্র পরিদর্শন ও বৃক্ষরোপণ শেষে এই মত বিনিময় অনুষ্ঠিত হয় ৷
এসময় চরফ্যাসন পৌর মেয়র বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ, নব নির্বাচিত পৌর মেয়র মোঃ মোরশেদ, কুকরি মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবুল হাসেম মহাজন, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মনির আহমেদ শুভ্র, সাংবাদিক জামাল মোল্লা,নোমান সিকদার,এম আবু সিদ্দিক, আমির হোসেন, কামরুল সিকদার, মাঈনুদ্দিন জমাদার , মিজান নয়ন সহ স্থানীয় অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ৷
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সিনিয়র সচিব বলেন,সামগ্রীকভাবে ভোলা জেলায় অনেক কাজ হয়েছে। চরফ্যাসনের কাজগুলো চলমান আছে। আমি নিজে গত ২ দিনে কাজ গুলো ঘুরে দেখেছি । দেখে মনে হয় আমাদের প্রোড্কাটিভ ওয়ার্ক করতে হবে সেগুলো আমরা করবো। শতশত জমি রিক্রোট হয়ে রয়েছে।
তিনি বলেন,তেঁতুলিয়ায় সুইটওয়ার্টার রিজার্ভ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকার পানি রপ্তানী করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। চরফ্যাসনে নদী ভাঙ্গন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অর্থ প্রদান করা হবে। তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদীভাঙ্গন কবলিত মানুষের প্রতি সংবেদনশীল। মুজিববর্ষে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় কর্তৃক এ বছর আরো ২০ লাখ গাছ রোপন করা হবে। ইতোমধ্যে একটি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে যা ১৫ শ কোটি টাকা। চরফ্যাসন মান্দারতলীর খালটি নিষ্কাশন করার জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এই কাজটি বাস্তবায়নের স্বার্থে পৌর মেয়র এবং স্থানীয় জনগন অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।আশা করি এ কাজটি শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ এবং মানুষের উপকার হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন শুধু চরফ্যাসন নয় হাতিয়া, মহেশখালী, বাগের হাটসহ খুব শ্রীঘ্রই তেতুলিয়া নদী খনন করা হবে।
জামাল মোল্লা/ইবি টাইমস