চরফ্যাসন(ভোলা) : ভোলার চরফ্যাসনের মানিকা ইউনিয়নের দুই ভাইয়ের মালিকানা সোহাগ ও জিয়ার দুইটি ব্রীক ফিল্ড ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিলেন ভোলা পরিবেশ অধিদপ্তর। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাদেকুর রহমান এর নির্দেশে ভোলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক মিয়া ভেকু মেশিন দিয়ে ইটভাটা ২ টি গুড়িয়ে দেয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি দিয়ে ভাটার পানি নিভিয়ে দেন। ব্রীক্স দুইটি হলো সোহাগ আকনের রাত্রি ব্রীক্স এবং জিয়া আকনের আকন ব্রীক্স। চরমানিকার ২ নং ওয়ার্ডে ব্রীক্স গুলো অবস্থিত। ২০১১ সালে ব্রীক্স ফিল্ড সংলগ্ন রফিক মোল্লার ৭ একর জমি দখল করে এই আকন ব্রীক্সটি করেন প্রভাবশালী জিয়া আকন। সোহাগ আকন চর মানিকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান।
স্থানীয় বাসিন্দা ফজলু মীর জানান, এই দুইটি ব্রীক্স ফিল্ডটি মানুষের বাড়ীর গাছ ও ফসল নষ্ট সহ শিশু বাচ্চারা ও নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। এলাকার জসিম জানান, ভয়ে জিয়ার বিরুদ্ধে আমরা কোন অভিযোগ করতে পারেনি। ব্রীক্স দুইটির কোন ধরনের কাগজ পত্র না থাকায় এই অভিযান করে ফিল্ড গুলো গুড়িয়ে দিয়েছেন ভোলা পরিবেশ অধিদপ্তর।
এ সময় Rab -৮ সহ পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এ অভিযানে অংশ নেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নিরব জানান,এই মানিকার মানুষ ঈদের মত খুশি। ব্রীক্স ফিল্ডের জিয়া আকনের লোকজন নিরবের জমি কেটে মাটি নিয়ে গেছে জোর করে ব্রীক্সের আগুনে শতশত একর জমির ফসল পুড়ে গেছে। আকন ব্রীক্স সংলগ্ন বাসিন্দা শাহিনা জানান, আমার বাড়ীর গাছগুলোর পাতা পুড়ে গেছে এমন কি লাউ গাছ জ্বলে গেছে। তাদের ভয়ে মুখ খুলতে পারেনি এতোদিন। এই দুইটি ব্রিক্সের কয়েক লাখ কাচা ইট ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
রাস্তার দূ পাশে উৎসুক মানুষের ভীর ছিলো চোখে পড়ার মতো। মানুষেরা বলছেন সোহাগ আকন ও তার ভাই জিয়া আমাদের বাড়ী ঘরে ক্ষতি ব্যাপারে বললে, বলতেন তোমরা বাড়ী ছেড়ে দাও আমি ব্রীক্স আরো বড় করবো। রফিক মোল্লার ছেলের বউ নুর নাহার জানান, ২০১১ সালে জিয়া সরকারী দলের দোহাই দিয়ে আমার শ্বশুর রফিক মোল্লার ৭ একর জমি জবর দখল করে আমাদেরকে উচ্ছেদ করেন জিয়া ও সোহাগ। সরকারের কছে আমাদের দাবী আমাদের জমি আমাদের কে ফিরিয়ে দেয়া হউক।
জামাল মোল্লা /ইবি টাইমস