কৃষি গবেষণায় পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী

ঢাকাঃ কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, একসময় দেশে গবেষণার প্রায় পুরোটাই ছিল বিদেশি সাহায্য নির্ভর। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষি গবেষণায় ও কৃষির উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়ে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে।

কৃষিমন্ত্রী রবিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) আয়োজিত সংস্থাটির ‘সার্বিক অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিতে বিদেশ নির্ভরতা কমাতে হবে। গবেষণা সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশীয় প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। চাষাবাদ, উপকরণ ব্যবহার ও অর্গানিক পদ্ধতিতে উৎপাদনসহ সকল কৃষিপ্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে।

এসময় কেজিএফকে বরাদ্দপ্রাপ্ত অর্থের যথাযথ ও সুষ্ঠু ব্যবহারের নির্দেশ দেন কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক। মন্ত্রী বলেন, সরকার কেজিএফকে যে উদ্দেশ্যে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে, তা অর্জনে অর্থের যথাযথ ও সুষ্ঠু ব্যবহার করতে হবে। প্রকল্প গ্রহণে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে। যেনতেন প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ দিলে চলবে না। চরাঞ্চল, উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকা, পাহাড় বা হাওরের প্রতিকূল এলাকায় কীভাবে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়- সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট, লক্ষ্যনির্ধারণী ও ফলাফল নির্দিষ্ট গবেষণা করতে হবে। একইসাথে, প্রকল্প বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন  ও মনিটরিং কার্যক্রমকেও শক্তিশালী করতে হবে। কেজিএফের গবেষণা থেকে বা উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে  কৃষি উৎপাদন বা ফলন বৃদ্ধি কতটুকু হয়েছে- তার যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে বলেও মনে করেন কৃষিমন্ত্রী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেজিএফের চেয়ারম্যান ও বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেজিএফের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট (হর্টিকালচার) ড. শাহাবুদ্দীন আহমদ।

কেজিএফের সার্বিক অগ্রগতি ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার উপর উপস্থাপনা করেন কেজিএফের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়ায়েস কবীর এবং বর্তমান নির্বাহী পরিচালক  ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস।

ঢাকা প্রতিনিধি/ইবি টাইমস/আরএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »