লালমোহন প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহন পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড দুলা মিয়া হাওলাদার বাড়ির দিনমজুর ফারুক মিয়ার ছেলে সায়েম (১১)। স্থানীয় বিদ্যালয়ে ষষ্ট শ্রেণির ছাত্র মেধাবী সায়েম পড়াশুনার পাশাপাশি দিনমজুর পিতার কাজেও সহযোগিতা করতো।
পড়াশুনা করে বড় হবে, পিতার কষ্ট লাঘব করবে এমন স্বপ্ন দেখতো সায়েম। কিন্তু তার সে স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় মরণ ব্যধি ব্লাড ক্যান্সার। সন্তানের দীর্ঘ মাসখানেক ধরে কাঁশি, কিছুদিন যাবত কাঁশির সাথে রক্ত। সন্তানকে নিয়ে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে প্রথমে টিবি রোগ ধারণা করলেও পরে রক্তশূন্যতা দেখে সিবিসি টেস্ট করতে দেন ডাক্তার। টেস্টে ধরা পরে রক্তের ক্যানসার ও এ্যাকিউট লিউকেমিয়া।
পরে চিকিৎসকের পরামর্শে সন্তান কে বাঁচাতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) হাসপাতালে নিয়ে যায় সায়েমের পরিবার। ৬০হাজার টাকা সুদে ধার করে সন্তানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করায় দিনমজুর পিতা। তবে চিকিৎসা করাতে কয়েক লক্ষ টাকা প্রয়োজন,কিন্ত দরিদ্র পিতার পক্ষে তা সম্ভব নয়। তাই কোন উপায়ন্তর না দেখে, টাকার জোগাড় করতে না পারায় চিকিৎসা না করেই এলাকায় ফিরে আসে পরিবারটি।
সংবাদ পেয়ে পরিবারটি পাশে দাঁড়ায় “নবজাগরণ” নামের স্থানীয় একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন। প্রাথমিক কিছু অর্থ দিয়ে চিকিৎসার জন্য কিশোর সায়েমসহ তার পরিবারকে পুনরায় ঢাকা পাঠায় সংগঠনটি। বর্তমানে সায়েম রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) হাসপাতালের ডি ব্লক ৩য় তলার ৩০৭ নাম্বার রুমের ১১নং বেডে ভর্তি রয়েছে। ভর্তির ব্যবস্থা হলেও একটিমাত্র সেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষে এত টাকা চিকিৎসা খরচ বহন করাও অসম্ভব। তাই কিশোর সায়েম কে বাঁচাতে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন দরিদ্র পিতা ফারুক।
সামর্থবান ব্যক্তি ও সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে “নবজাগরণ” সামাজিক সংগঠনটিও। সায়েমের পিতা মোঃ ফারুকের সাথে যোগাযোগের মোবাইল নম্বর : ০১৩১৯৮৫৫৬১১, নাম্বারটি বিকাশ করা রয়েছে। অর্থাভাবে আটকে আছে কিশোর সায়েমের চিকিৎসা। বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান।
সালাম সেন্টু /ইবি টাইমস