বাংলাদেশ ডেস্কঃ কিশোর সায়েম, ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র, বয়স মাত্র ১৩ বছর। স্কুলের ছুটি শেষে বাড়িতে পিতার কাজেও সাহায্য করে। দিনমজুর পিতার সংসারে চরম অভাব আর দারিদ্র্যতা পুজি করে সায়েম স্বপ্ন দেখছে লেখাপড়া করে মানুষ হওয়ার। তাঁর সে স্বপ্ন এখন অনিশ্চিত জীবনে হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
সায়েম ভোলার লালমোহন পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের দরিদ্র দিনমজুর ফারুক মিয়ার ছেলে। গত ২৭ জানুয়ারী বিকেলে সায়েম মায়ের সাথে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ মহসিন খানের চেম্বারে আসে। ১ মাস ধরে কাশি আর ৫ দিন ধরে কফের সাথে রক্ত পরছিল। ডাক্তার প্রথমে টিভি রোগ ধারণা করলেও পরে রক্তশূন্যতা দেখে সিবিসি টেস্ট করতে দেয়। এতেই ধরা পরে শিশু সায়েমের রক্তের ক্যান্সার,এ্যাকিউট লিউকেমিয়া।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়(পিজি) হাসপাতালের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ৬০ হাজার টাকা খরচ করেছেন। নিজের মাত্র ১ হাজার টাকা সম্বল থাকলেও বাকী টাকাগুলো চড়া সুদের উপরে ধার করে খরচ করেছেন। টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসা শেষ না করেই লালমোহন ফিরে এসেছেন। পিজি হসপিটালে ভর্তির সুযোগ পেয়েও ছেলেকে ভর্তি করাতে পারেন নি।
সায়েমের চিকিৎসায় কয়েক লাখ টাকা প্রয়োজন। তাকে পিজি হাসপাতালে রেখে সঠিক চিকিৎসা করাতে পারলে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। দরিদ্র দিনমজুর পিতা দেশের বিত্তবান ও হৃদয়বান মানুষের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন। তার সঙ্গে যোগাযোগের (বিকাশ) ফোন নম্বর ০১৩১৯৮৫৫৬১১।
এম.ইউ.মাহিম /ইবি টাইমস