ভোলা প্রতিনিধি: কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের ঘটনায় আতংক-উৎকন্ঠা কাটিয়ে ভোলার দুই পৌরসভায় রবিবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহনের মধ্যদিয়ে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচিত করবেন এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।
সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী রয়েছে শক্ত অবস্থানে। সাধারন ভোটার যাতে নিরাপদে-নির্ভিগ্নে ভোট দিতে পারে সে জন্য বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকায় পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ড মোতায়েন রয়েছে।
ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মো: কায়সার জানান, ভোট কেন্দ্র ও এর আশপাশ এবং ঝূকিপূর্ন এলাকায় পুলিশের মোবাইল টিম কাজ করবে। সাধারন ভোটারদের যাতে কেউ ভয়ভীতি প্রদর্শন বা হুমকি দিতে না পারে সে জন্য কঠোর নজরদারি থাকবে। এরছাড়াও কেন্দ্রভিত্তিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে শান্তিপূর্ন ভোটগ্রহনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ভোলা রির্টানিং অফিসার আলাউদ্দিন আল মামুন জানান, শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে সব ধরনের আগে থেকেই নেয়া হয়েছে। সুষ্ঠ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য যা যা করনীয় তা করবে নির্বাচন কমিশন।
দুটি পৌরসভা থেকে ৬ জন মেয়রসহ ৮৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে মেয়র পদে ৬ জন, সাধারন কাউন্সিলর পদে ৬২ ও সংরক্ষিত কাউন্সিল পদে ১৫ জন লড়ছেন। এদের মধ্যে ভোলা পৌরসভায় ৩ জন মেয়র প্রার্থী, ৩৭ জন সাধারন কাউন্সিলর প্রার্থী ও ৮ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বনিদ্বতা করছেন।
অন্যদিকে চরফ্যাশন পৌরসভায় মেয়র পদে ৩ জন, সাধারন কাউন্সিলর পদে ২৫ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭ জন লড়ছেন। ভোলা পৌরসভার ২০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২০টি এবং চরফ্যাশন পৌরসভায় ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩টি কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। এসব কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কে হচ্ছেন মেয়র ও কাউন্সিলর এমন আলোচনা পৌর এলাকার সর্বত্র। চায়ের কাপেও যেন চলছে আলোচনার ঝড়।
সাব্বির আলম বাবু /ইবি টাইমস