আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শিক্ষার্থী ও ডাক্তারদের অংশগ্রহণে বৃহস্পতিবারেও অব্যাহত আছে মিয়ানমারের সামরিক শাসন বিরোধী বিক্ষোভ। আর ইন্দোনেশিয়ার উদ্যোগে চলা সামরিক সরকারের সাথে সংকট নিরসনের আলোচনাকে পরোক্ষভাবে তাদের বৈধতা দেয়া বলে সন্দেহ পোষণ করছে দেশটির সাধারণ মানুষ।
গত দিনগুলোর মতো আজও ইয়াঙ্গুনের প্রাণকেন্দ্রে জড়ো হয় দেশটির বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। আন্দোলনের জেরে এখন পর্যন্ত সাতশ ২৮ নাগরিককে আটক বা গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে, সংকট নিরসনে ইন্দোনেশিয়ার উদ্যোগে গতকাল থেকে থাইল্যান্ডে বসেছে সামরিক সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আসিয়ান জোটের মধ্যকার আলোচনা। তবে এ আলোচনাকে সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করেছে মিয়ানমারের সাধারণ জনতা।
আন্দোলনকারী সংগঠনগুলোর বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, প্রতিবেশীদের প্রচেষ্টায় গত নির্বাচনের ফলাফল বাতিলে জান্তা সরকারকে বৈধতা দেওয়া হতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে। মিয়ানমারের রাজনৈতিক নেতা ও সাধারণ মানুষেরা দ্রুত নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানালেও, ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেত্নো মারসুদি এ দাবিতে সমর্থন দেননি। এ অবস্থায় প্রস্তাবিত মিয়ানমার সফরও বাতিল করেছেন তিনি। সামরিক সরকারের সাথে যেকোন ধরনের সমঝোতা বা আলোচনাকে তাদের বৈধতা দেয়ারই সামিল বলে অভিযোগ করেছে নাগরিক অধিকার সংগঠন ফিউচার নেশন অ্যালায়েন্স।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক/ইবি টাইমস