ঢাকা প্রতিনিধি: পিলখানা ট্র্যাজেডির এক যুগ আজ। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর জওয়ানদের হাতে নিহত হন ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। নানা কর্মসূচিতে পিল খানা হত্যা দিবস পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে শহীদ সেনা সদস্যদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানান তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ।
এছাড়া, শ্রদ্ধা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার এডমিরাল এম আবু আশরাফ, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত এবং বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো: সাফিনুল ইসলাম।
পরে শহীদ সেনা সদস্যদের স্বজনদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় সমাধিস্থল। ১২ বছর আগে পিলখানায় পরিবারের প্রিয় মানুষটিকে হারিয়ে আজও তাদের স্মৃতি হাতড়ে বেড়ান তারা। এই ঘটনায় করা তদন্ত প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানান নেতারা।
বিডিআর বিদ্রোহে হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানি এ বছরের শেষদিকে শুরু হতে পারে- জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি এগিয়ে আনার আবেদন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। এদিকে, একই ঘটনায় বিচারিক আদালতে বিস্ফোরক আইনের মামলাটির এখনও সাক্ষ্যগ্রহন চলছে। ফলে হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত বা সাজা খাটা শেষ হওয়া বন্দিরা কবে মুক্তি পাবে- এ নিয়ে উদ্বিগ্ন আসামীপক্ষ।
বিদ্রোহের বিচার বিডিআরের নিজস্ব আদালতে হলেও হত্যা মামলার বিচার চলে ঢাকা বিশেষ জজ আদালতে। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ১৫২ জন বিডিআর সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন, ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয় বিচারিক আদালতে। আর খালাস দেয়া হয় ২৭৮ জনকে। ওই রায়ের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর হাইকোর্ট থেকে রায় আসে ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর।
হাইকোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে আসামী এবং রাষ্ট্র উভয় পক্ষই। এখন আপিল শুনানি দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলা শেষ করতে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপও চায় দুই পক্ষ।
এদিকে, আসামীপক্ষের আইনজীবী জানালেন, একই ঘটনায় হত্যা মামলা শেষের পথে। কিন্তু বিস্ফোরক আইনের মামলাটি এখনও সাক্ষ্যগ্রহন পর্যায়ে। আসামির সংখ্যার দিক থেকে এটিই এখন পর্যন্ত দেশের ইতিহাসে বৃহত্তম মামলা।
ঢাকা প্রতিনিধি/ইবি টাইমস