চরফ্যাসন (ভোলা) : “ভোট চাই ভোটারের,দোয়া চাই সকলের” এই শ্লোগানে শ্লোগানে প্রার্থীদের ভোটাদের বাসা বাড়ীতে পায়ে হেঁটে কর্মীদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নের আশ্বাস দিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন মেয়র,কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা ।
২০ ফেব্রুয়ারী বিএনপি ও আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থীরা আগের দিনের চেয়ে নির্বাচন এগিয়ে আসায় ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সকাল থেকে রাত অবধি পর্যন্ত। ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ২ জন, ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ২ জন ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ২ জন প্রার্থীরা ৪ নং ওয়ার্ডের ৪ জন ৫ নং ওয়ার্ডে ৪ জন ৮ নং ওয়ার্ডে ৪ জন এবং ৯ নং ওয়ার্ডে ২ জন সহ সংরক্ষিত ৩ জন ৩ নং ওয়ার্ডে ৪ জন ভোটারদের কাছে ভেটের জন্য বিভিন্ন কাজের ওয়াদার ফুলঝুরি জুড়ে ভোট চাইছেন।
এদিকে স্বতন্ত্র মেয়র ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী সমান তালে স্ব স্ব প্রতীকের জন্য নিজেকে সৎ ও যোগ্য হিসেবে ভোটারদের কাছে উপস্থাপন করছেন। শনিবার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন হারুন তার মার্কা ডালিম এ ভোট চেয়ে ৪ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন বাড়ী বাড়ী মহিলা ভোটারদের কাছে গিয়ে সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপির উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরেন।
৪ নং ওয়ার্ডের শিক্ষক সামছুল আলম আপন বলেন আমরা যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দিবো। যে প্রার্থী আমাদের এই ৪ নং ওয়ার্ডের হরিবাড়ী থেকে মোল্লাবাড়ী পর্যন্ত পাকা সড়কটি সংস্কার করে মানুষের যাতায়তের সু ব্যবস্থা করবেন আমরা তাকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবো। পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের ভোটার মোঃ সেলিম জানান, ভোট দিতে পারলে কেন্দ্র যাবো পছন্দের প্রার্থীকে ভেট দিবো। ৯ নং কামাল হোসেন জানান, দীর্ঘ ৫ বছর আমাদের কাউন্সিলর ছিলেন মিজানুর রহমান মঞ্জু । আমাদের এই ওয়ার্ডের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন তিনি। তাই এবার ও আমরা এলাকাবাসী একযোগে মঞ্জুর উট মার্কায় ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করবেন।
১ নং ওয়ার্ডের ভোটার বসার জানান, আমি এবং আমার পরিবার উটপাখি মার্কায় ভোট দিয়ে এলাকার উন্নয়ন অব্যাহত রাখবো। আকলিমা মিলা জানিয়েছেন, আমি আমার এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে নৌকা মার্কায় ভোট দিবো। কারন আওয়ামী লীগের বারবার নির্বাচিত এমপি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব চরফ্যাসন কলেজকে সরকারী করণ করেছেন, ডিভিশন -২, ভোলা থেকে চরফ্যাসনে স্থানান্তর করেছেন এরকম হাজার উন্নয়নের বরপুত্র আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপির মনোনীত প্রার্থীকেই আমরা বিজয় করবো ইনশাআল্লাহ।
এদিকে বিএনপির প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের লোক হওয়ায় অপর পক্ষ বিএনপির ধানের শীষ মার্কার জন্য মাঠে নেই বললেই চলে। তারপর বিএনপির মেয়র প্রার্থী হুমায়ুন কবির সিকদার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। এখন অপেক্ষার পালা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী কে হাসবেন শেষ হাসি।