সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার ঘোষক

মুক্তিযুদ্ধ,স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে ড. মোঃ ফজলুর রহমানের ধারাবাহিক মতামত। এটি লেখকের নিজস্ব মতামত। এর সাথে ইউরোবাংলা টাইমসের সম্পাদকীয় নীতিমালার সম্পর্ক নেই

পর্ব-৭ 

ড.মোঃ ফজলুর রহমানঃ (৫৭)আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কিংবা যুদ্ধ পরবর্তীকালে সুদীর্ঘ দিন ধরে সেনাবাহিনীতে বিভিন্ন পদমর্যাদায় চাকুরী করা অবস্থায় এবং তারও পরে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে তথা রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরও জিয়াউর রহমান কখনো বলেননি কিংবা দাবি করেননি যে, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি। এহেন ঘোষণা দিয়েছেন তিনি (জিয়াউর রহমান নিজে)। উপরন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিগত ১৯৭২ ইং সনের ২৬শে মার্চ তৎকালীন “দৈনিক বাংলা” এবং “সাপ্তাহিক বিচিত্রা” (বর্তমানে বিলুপ্ত) পত্রিকায় এবং স্বাধীনতা দিবস সংখ্যায় জিয়াউর রহমান তাঁর নিজের নামে “একটি জাতির জন্ম” শীর্ষক প্রবন্ধ লিখেছেন। উক্ত প্রবন্ধে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মোট ৪ (চার) বার “জাতির পিতা” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের স্বাধীনতার জন্য “গ্রীন সিগন্যাল” ছিল বলেও তিনি তাঁর উপরোক্ত একই প্রবন্ধে অত্যন্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাষায় (Clearly and Categorically) স্বীকার করেছেন।

(৫৮)বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল তথা বিএনপি – এর নেতা, কর্মী, সমর্থক এবং তাদের মতাদর্শে বিশ্বাসী বুদ্ধিজীবীগণের তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত নেতার স্বনামে লিখিত উপরোক্ত প্রবন্ধ তথা আর্টিকেলের সুস্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট (Conspicuous and unequivocal) উপলব্ধি এবং স্বীকারোক্তির প্রতি যথোপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করা উচিৎ কিনা তা তারা ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখতে পারেন। এরই পাশাপাশি অকাল প্রয়াত নেতার সুচিন্তিত মতামত এবং পরিচ্ছন্ন অভিব্যক্তির প্রতি অবজ্ঞা এবং অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করার মাধ্যমে ঐতিহাসিকভাবে প্রতিষ্ঠিত এবং সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত মহান মুজিবের কৃতিত্ব এবং অবদানকে ম্লান ও খাটো করতে গিয়ে প্রকারান্তরে তাদের প্রয়াত নেতা জিয়াউর রহমানকে তারা নিজেরাই অবচেতন ভাবে অপমান এবং অসম্মান করে চলেছেন কিনা তাও তারা একান্ত চিত্তে ভেবে দেখতে পারেন।

(৫৯)বিগত ১৯৭১ এর ২৫শে মার্চের রাত বাঙালি জাতির ইতিহাসে নিদারুণভাবে ঘৃণিত, অভিশপ্ত এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। স্বীকৃত মতেই উপরোক্ত ২৫শে মার্চের মধ্যরাত পর্যন্ত জিয়াউর রহমান পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে একজন নিবেদিত প্রাণ মেজর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এহেন কর্মরত থাকাবস্থায় ঐ রাতে তিনি চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গর করা “সোয়াত” জাহাজ থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষে অস্ত্র খালাস করতে যেতেছিলেন। কিন্তু তা করতে গিয়ে পথিমধ্যে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি ফিরে এসেছেন। তারও পরে ২৭শে মার্চ সন্ধায় তিনি চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। উপরোল্লিখিত ২৫শে মার্চ রাতে তিনি (মেজর জিয়া) কোথায় ছিলেন এবং কি কি করেছেন না করেছেন, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা তিনি তাঁর উপরোল্লিখিত আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোকপাত করেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও উক্ত প্রবন্ধের কোথাও তিনি তাঁকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে আদৌ কোন দাবিই করেননি। তদুপরি উপরোক্ত একই আর্টিকেলে তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ব্যক্ত করেছেন যে, তিনি (জিয়াউর রহমান) নিজে নহেন, বরং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবই ১৯৭১ এর ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন।

(৬০)উপরোল্লিখিত একই প্রবন্ধে জিয়াউর রহমান অত্যন্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাষায় উল্লেখ করেছেন- “পাকিস্তান সৃষ্টির পরপরই  ঐতিহাসিক ঢাকা নগরীতে মিঃ জিন্নাহ্‌ যেদিন ঘোষণা করলেন, উর্দু এবং একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা; আমার মতে ঠিক সেই দিনই বাঙ্গালির হৃদয়ে অঙ্কুরিত হয়েছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদ, জন্ম হয়েছিল বাঙালি জাতির” [দ্রঃ একাত্তর কথা বলে, মনজুর আহমদ, আগামী প্রকাশনী, ঢাকা, ১৯৯০, পৃ ১৬]। অনুসন্ধিৎসু যে কেউই উপরোক্ত বক্তব্য সমূহের সত্যতা, বিশ্বস্ততা এবং যথার্থতা নিরূপণ করে দেখতে পারেন। আর তা দেখার পর ধান্ধাবাজ, ধাপ্পাবাজ এবং মিথ্যাবাদীদের কূটচাল এবং সজ্ঞান মিথ্যাচার সম্পর্কে সন্দেহ মুক্ত হতে পারেন।

(৬১)দেশবাসী জানেন যে, বিগত ১৯৭১ এর ২৫শে মার্চ দিবাগত রাত থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। এহেন রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে বহু ঘটনা দুর্ঘটনার পর জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকাবস্থায় বিগত ১৯৮১ সনের ৩০শে মে তারিখে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে তিনি অত্যন্ত নির্মমভাবে নিহত হন। বাঙ্গালির মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সুদীর্ঘ ১০ (দশ) বছরেরও বেশি সময়কাল পর্যন্ত তিনি বেঁচে ছিলেন। তদুপরি বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর সুদীর্ঘ প্রায় ৬ (ছয়) টি বৎসর জীবিত থাকা সত্ত্বেও তিনি (জিয়াউর রহমান) নিজে কখনো তাঁকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করেননি। উপরন্তু তাঁর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি জানতেন, মানতেন এবং মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন যে, স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক। প্রয়াত নেতার উপরোক্ত স্বকণ্ঠে প্রচারিত ঘোষণা এবং স্বনামে লিখিত প্রবন্ধের বক্তব্য সমূহকে পাশ কাটিয়ে এবং দিবালোকের মতো প্রতিষ্ঠিত জলজ্ব্যান্ত সত্যকে তাঁরই আদর্শের অনুসারীগণ কর্তৃক সরাসরি অবজ্ঞা, অবহেলা এবং অস্বীকার করা নিদারুণভাবে অন্যায়, অবৈধ এবং অসমীচীন বলে যে কোন প্রকার সন্দেহ ব্যতিরেকেই প্রমাণিত হয়।

(৬২)জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বিগত ১৯৭৭ সনের ১৫ই ডিসেম্বর তিনি জাতির উদ্দেশ্যে বেতার ও টিভিতে ভাষণ দিয়েছেন। সেই ভাষণে তিনি বলেন – “এই পবিত্র মুহূর্তে আমার মনে পড়ছে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চের কথা। যেদিন কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে আমার বলার সুযোগ হয়েছিল। সেই একই জাতীয়তাবাদী চেতনা, সাহস ও প্রত্যয় নিয়ে আজ আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।” এই ভাষণটি পরের দিন ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭৭ তৎকালীন সরকারী “দৈনিক বাংলা” (অধুনা বিলুপ্ত) পত্রিকায় প্রেসিডেন্টের ভাষণের পূর্ণ বিবরণ হিসেবে যথারীতি ছাপা হয়েছিল। ঢাকার পাবলিক লাইব্রেরী; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরী; বাংলা একাডেমী এবং পি,আই,বি- এর পুরনো কাগজপত্র সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর করলে যে কেউই এর সত্যতা এবং যথার্থতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন।

(৬৩)রাষ্ট্রপতি হিসেবে জিয়াউর রহমানের উপরোক্ত বেতার ভাষণের পরের দিন ঢাকাস্থ The Bangladesh Observer পত্রিকায় ছাপা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জিয়া বলেছেন- “On this sacred occasion, I remember the 27th day of March 1971, when I had the opportunity to speak to you from Kalurghat Radio Station. Today, I have come before you with the same nationalistic consciousness, courage and determination.”উপরোল্লিখিত ভাষণ এবং বক্তব্য সম্বলিত পত্রিকার কপি দেশের সচেতন ব্যক্তিদের পাশাপাশি জাতীয় আর্কাইভেও সংরক্ষিত রয়েছে বটে। উৎসাহী ব্যক্তিবর্গ তাদের সন্দেহ দূর করার নিমিত্তে উপরোক্ত “দৈনিক বাংলা” এবং The Bangladesh Observer পত্রিকা দু’টির কপি সংগ্রহ করে নিশ্চিত হতে পারেন। উপরোল্লিখিত কোন একটি তথ্য কিংবা প্রমাণ অস্বীকার করার কিংবা তা পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ কিংবা অবকাশ আছে কি? আর যদি তা না থাকে, তাহলে এরপরও কি বলা ঠিক হবে যে, জিয়াউর রহমান ২৭শে মার্চে নয়, ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন? আর এহেন সুপ্রতিষ্ঠিত সত্যকে বিকৃত করার মাধ্যমে এবং তদস্থলে একটি জঘন্য মিথ্যাকে দেশ ও জাতির উপর জোর করে চাপিয়ে দিয়ে প্রয়াত নেতা জিয়াউর রহমানের প্রতি কোন শ্রদ্ধা কিংবা ভালবাসা অথবা কোন প্রকার সম্মান দেখানো যাবে কি? আর এহেন ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে প্রয়াত জিয়াউর রহমানের সম্মান এবং মর্যাদা কোনভাবেই বৃদ্ধি পাবে কি?

(৬৪)বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি বলে যে সমস্ত জ্ঞানপাপী এবং ধান্দাবাজরা প্রচার করে আনন্দবোধ করেন, তারা কি আমাদের মহান জাতীয় সংসদের কার্যবিবরণী পর্যালোচনা করে দেখতে রাজী আছেন? যদি রাজী থাকেন, তাহলে দেখতে পারবেন যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা সম্পর্কে বিগত ১৯৭২ সনের ১০ই এপ্রিল বাংলাদেশের গণ পরিষদে মহান মুজিব নিজেই একটি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে দীর্ঘ আলোচনার পর ঐদিন উক্ত প্রস্তাব তথা “বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা সম্পর্কীয় প্রস্তাব” সর্ব সম্মতি ক্রমে মহান জাতীয় সংসদে যথারীতি গৃহীতও হয় বটে। সচেতন দেশবাসী এবং জাতীয় সংসদের সম্মানিত সদস্যদের উপরোক্ত প্রস্তাব সম্পর্কে জানা না থাকার কথা নয়। আর তা জানা থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে অনবরত মিথ্যাচারের প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে চান, তাহলে তার জন্য শুধুমাত্র করুণা প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।

(৬৫)জিয়াউর রহমানের জীবদ্দশায় এবং তাঁরই নির্দেশে বিগত  ১৯৭৮ ইং সনে শ্রদ্ধেয় হাসান হাফিজুর রহমান (বর্তমানে প্রয়াত) -এর নেতৃত্বে গঠিত একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস প্রণয়নের কাজ শুরু করেন। পরে বিগত ১৯৮২ ইং সনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মোট ১৫ (পনের) টি পৃথক পৃথক খণ্ডে তা যথারীতি প্রকাশিত হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঘটনার আনুপূর্বিক বক্তব্য সমূহ যথোপযুক্ত তত্ত্ব, তথ্য এবং যুক্তি ও প্রমাণ সহকারে উপরোক্ত খণ্ড সমূহে যথারীতি বিবৃত এবং বিধৃত করা হয় বটে। পরবর্তীকালে বিগত ২০০৩ ইং সনে প্রকাশিত সংকলনেও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস অবিকৃত ভাবেই তুলে ধরা হয়।

(৬৬)অত্যন্ত বেদনাদায়ক, ন্যাক্কারজনক এবং অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, বিগত ২০০৪ ইং সনে পুনর্মুদ্রণ করতে গিয়ে সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃত ভাবেই উপরোল্লিখিত সঠিক ইতিহাসের স্থলে বিভিন্ন ধরনের অযুক্তি ও কুযুক্তির অবতারণা করে নানা প্রকার বিকৃতি, বিচ্যূতি এবং বিভ্রান্তির সন্নিবেশ ঘটানো হয়। আর এহেন ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর পরিবর্তে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। উপরন্তু জিয়াউর রহমান ২৭শে মার্চ নহে, ২৬শে মার্চ রাতে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করেছেন বলেও জোর করে চাপিয়ে দেয়া হয়। যা সর্বৈব মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। উপরোক্ত জঘন্য কার্যক্রম ইতিহাস বিকৃতির ও শামিল বটে।

(৬৭)আইন আদালতের সহিত ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি মাত্রই জানেন যে, একজন অপরাধী যতই চালাক-চতুর কিংবা সচেতন অথবা বুদ্ধিমানই হন না কেন, কোন গর্হিত অপরাধ সংগঠনের পর তার অপরাধ প্রবণতার কারণেই তিনি এমন কিছু সাক্ষ্য প্রমাণ অথবা উপসর্গ রেখে যান- যা দিয়ে উক্ত অপরাধের তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা সহজ হয়। পরবর্তীকালে উক্ত অপরাধীকে শনাক্ত এবং ধৃত ও করা যায়। আমাদের মহান স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে ইতিহাস বিকৃতিকারী জ্ঞানপাপী পণ্ডিতদের অবস্থাও অনেকটা সেরকমই লেজে গোবরে হয়েছে বটে। কেননা জিয়াউর রহমানের জীবদ্দশায় ১৯৮২ সনের মূল সংকলন সহ পরবর্তীকালে ২০০৩ সনের সংকলনেও উল্লেখ রয়েছে যে, মেজর জিয়া ২৭শে মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করেছেন।

ড. মোঃ ফজলুর রহমান,সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ (অবঃ), লেখক ও কলামিস্ট 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »