ইউরোপ ডেস্কঃ অস্ট্রিয়ার সরকার প্রধান চ্যান্সেলর(প্রধানমন্ত্রী) সেবাস্তিয়ান কুর্জ আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন,লকডাউন আরও ৭ সপ্তাহ বর্ধিত করা হয়েছে । সেবাস্তিয়ান কুর্জ আজ অস্ট্রিয়ার সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ,জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতৃবৃন্দ এবং দেশের বিভিন্ন সামাজিক নেতৃবৃন্দ এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
অস্ট্রিয়ায় করোনার মিউটেশন ভাইরাসের সংক্রমণ অব্যাহত থাকায় সরকার গ্যাস্ট্রোনমি, পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের জন্য “ইস্টারের কাছাকাছি পর্যন্ত” লকডাউন বাড়িয়েছে । আক্রান্ত শিল্পগুলিকে কখন আনলক করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল সে সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে নির্দিষ্ট কোনও তারিখ ছিল না । ১ মার্চ তারা আবার পরামর্শ করতে চান, চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্জ সোমবার বিকেলে বিশেষজ্ঞ, বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ ও সংসদীয় দলের সাথে পরামর্শ শেষে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান ।
কুর্জ বলেন,যে সমস্ত বাণিজ্য চালু হওয়ার পরেও সংক্রমণের পরিস্থিতি স্থিতিশীল ছিল। পূর্ব অস্ট্রিয়াতে ব্রিটিশ ভাইরাসের রূপান্তর বেড়েছে এবং Tirol এ বেড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার মিউটেশনভাইরাস। এখনও আমাদের সতর্কতার প্রয়োজন আছে এবং ব্যক্তিগত যোগাযোগগুলি এখনও এড়িয়ে চলতে হবে। তবে দুইটি পরিবারের একসাথে মিলিত হওয়ার অনুমতি রয়েছে। তিনি আবারও জনগণকে সতর্কতার সাথে চলাফেরার অনুরোধ করে বলেন,নতুবা সংক্রমণের বিস্তার পুনরায় বৃদ্ধি পাবে।
সেবাস্তিয়ান কুর্জ ভাইরাস সনাক্ত এবং বিস্তার প্রতিরোধে বেশী করে করোনার পরীক্ষার কথা বলেন। তিনি জানান এর ফলে লুকিয়ে থাকা ভাইরাস দ্রুত বেড়িয়ে আসবে এবং লোকজনকে দ্রুত পৃথক করতে পারলে সংক্রমণের বিস্তার অনেকটাই কমে আসবে।তিনি আরও জানান,আগামী ১লা মার্চ থেকে আপনারা নিজ ঘরেই করোনার পরীক্ষা করতে পারবেন। ফার্মেসী থেকে করোনা পরীক্ষার সরঞ্জাম ফ্রি সরবরাহ করা হবে।
আজ অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন ১,২২৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১০ জন। রাজধানী ভিয়েনায় আজ নতুন করে সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন ৩০৭ জন। অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে NÖ রাজ্যে ২৬৩ জন,Steiermark রাজ্যে ২৬০ জন,OÖ রাজ্যে ১৪৮ জন,Kärnten রাজ্যে ৬৬ জন,Tirol রাজ্যে ৬২ জন,Salzburg রাজ্য ও Voralberg রাজ্যে ৪১ জন করে এবং Burgenland রাজ্যে ৩৭ জন নতুন করে করোনায় সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন।
অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৩৪,৭১২ ,জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ৮,২২১ জন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন মোট ৪,১২,৪৫৭ জন। বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৪,০৩৪ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ২৫৮ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১,৩৩৮ জন। বাকীরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
কবির আহমেদ /ইবি টাইমস