চরফ্যাসন(ভোলা) : ভোলার চরফ্যাসন দুলারহাট থানার চরযমুনা গ্রামে ধর্ষণের শিকার ১৪ বছরের কিশোরী মা হয়েছেন ১ মাস পূর্বে। চরযমুনা গ্রামের নিজ বাড়িতে গত ৭ জানুয়ারী ওই কিশোরী কন্যা সন্তানের জম্ম দেন। একই বাড়ীর যুবক সাইমুনের সাথে প্রেম ফসল ওই কিশোরী অন্তঃস্বত্বা হয়ে পরেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় মাতাব্বরদের সহযোগিতায় ধর্ষকের পরিবারের সদস্যরা বিয়ে নামক নাটক করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন।
ধর্ষক সাইমুনের সাথে বিয়ের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কাল ক্ষেপন করেন তার পরিবার। বিয়ের আয়োজনের অজুহাতে কৃষক কন্যার পরিবারের কাছ থেকে বিয়ে ছাড়াই ১লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন ধর্ষক সাইমুনের বাবা মোস্তফা ও স্থানীয় মাতাব্বররা। তার পরে শুরু হয় সময় ক্ষেপন। এভাবেই কেটে যায় ৬ মাস।
এদিকে গত ৭ জানুয়ারী ওই কিশোরী কন্যার কোল জুড়ে আসে নতুন কন্যা সন্তান। মায়ের কোল জুড়ে বেড়ে উঠলেও শিশুটির পিতৃপরিচয় নিয়ে সংকট রয়েই গেছে। কিশোরীর সন্তানের জম্ম দিলে বিয়ের প্রতিশ্রতি থেকে সটকে পড়েন স্থানীয় মাতাব্বরাসহ ধর্ষক সাইমুনের পরিবার।
এঘটনার গত সোমবার ভিক্টিমের বাবা বাদী হয়ে ভোলা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে ধর্ষক সাইমুনসহ তিন সহযোগীকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ভিক্টিম কিশোরীর বাবা ও মামলা সুত্রে জানাযায়, নীলকমল ইউনিয়নের চরযমুনা গ্রামের প্রতিবেশী মোস্তফার ছেলে সাইমুনের সাথে তার ১৪ বছরের কিশোরী কন্যার প্রেমের সম্পর্ক রেশ ধরে বিয়ের প্রলোভনে অবৈধ সম্পর্ক করেন সাইমুন। অবৈধ সম্পর্কে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরলে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় হলে ধর্ষক সাইমুনের বোনের জামাতা ইউনিয়নে কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক শাহেদ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালামের ছেলে মোঃ আনাছ বিষয়টি গোপন রাখার জন্য কিশোরীর পরিবারকে চাপ দেন এবং সাইমুনের সাথে কিশোরী কন্যার বিয়ের আশ্বাস দেন।
ভিক্টিমের পরিবারের সাথে বিয়ের সমযোতায় ধর্ষক সাইমুনকে বেকার দাবী করে তার পরিবার ও মাতাব্বররা ভিক্টিমের বাবার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা দাবী করেন। মিথ্যা বিয়ের আসরে নগদ যৌতুক হিসেবে ১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন সাইমুনের পরিবার ও মাতাব্বররা। বিয়ের মজলিশে তার কন্যার প্রাপ্ত বয়স হয়নি এমন অজুহাতে ওই খানেই আনুষ্ঠানিকতার সমাপ্ত করেন সাইমুনের পরিবার। মেয়ে প্রাপ্ত হলে বিয়ে হবে এমন মিথ্যা নাটকীয়তায় ধর্ষনের ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়া অপচেষ্টায় কেটে যায় প্রায় এক বছর।
এরই মধ্যে গত ৭জানুয়ারী ধর্ষনের শিকার ১৪ বছর বয়সী কিশোরী কন্যা একটি কন্যা সন্তানের জম্ম দেয়। ধর্ষনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী সন্তান জম্ম দেয়ায় পিতৃপরিচয় নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে গ্রাম জুড়ে। কে হবে কন্যা সন্তানের বাবা। অভিযুক্ত সাইমুন আত্নগোপনে থাকায় তার বক্তব্য জানাযায়নি। তবে অভিযুক্ত সাইমুনের বোনের জামাতা শাহেদ জানান, ষড়যন্ত্রমুলক আমার শ্যালক কে ফাঁসানো হয়েছে। ডিএনএ টেষ্ট করলে আসল রহস্য পাওয়া যাবে।
দুলারহাট থানার ওসি মোঃ মোরাদ হোসেন ইউরো বাংলা টাইমস কে জানান, দুলারহাট থানায় আমি ৪ মাস হলো যোগদান করেছি। এই বিষয়টি আমার জানা নেই। তৎকালীন ওসি সাহেব হয়তো বিষয়টি জানতে পারেন। তবে বিষয়টি এখন গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হবে।
জামাল মোল্লা /ইবি টাইমস